দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে নেমে গেছে পানির স্তর। এ কারণে ২৪২ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বুধবার (৭ জুন) বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে মাত্র ২৫ মেগাওয়াট। গত কয়েকদিন ধরেই এই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। আগামী দশ দিন বৃষ্টি না হলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।
জানা গেছে, কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে সবকটি সচল থাকার পরেও পানি সংকটের কারণে একসঙ্গে চালু করা যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার চালু ছিল ৪৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এক নম্বর ইউনিটটি। এতে ২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আবদুজ্জাহের বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটে ২৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রধান উৎস পানির স্তর হ্রদে অনেক কমে গেছে। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে। বৃহস্পতিবার রুলকার্ভ (হ্রদের পানির পরিমাপক) অনুযায়ী কাপ্তাই হ্রদে পানির উচ্চতা ছিল ৭২.৩৭ এমএসএল। অথচ এ সময়ে পানির উচ্চতা থাকার কথা ছিল ৭৭.৮২ এমএসএল। বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ২৫ মেগাওয়াট।’
তিনি আরও বলেন, ‘বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনে গেলে দ্রুত কাপ্তাই হ্রদের পানি শেষ হয়ে যাবে। এ কারণে একটি ইউনিট সচল রেখে অল্প পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বৃষ্টি খুবই জরুরি। আগামী ৮-১০ দিন বৃষ্টি না হলে কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।’