ইসলামী শরীয়াহ আইন অনুযায়ী, বিবাহ হল একজন নারী ও একজন পুরুষের মধ্যে নিষ্পন্ন বৈধ বন্ধন ও সামাজিক চুক্তি। যা একটি সুন্নাহ বা মুহাম্মাদ (স:) এর আদর্শ।
তবে ইসলামে বিয়ের জন্য খুব বেশি আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয় না। অন্যান্য চুক্তির মতই এতে দুইটি পক্ষ থাকে। সাক্ষীদের উপস্থিতিতে একপক্ষ বিয়ের প্রস্তাব করলে এবং অন্যপক্ষ তা গ্রহণ করলে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যায়।
তবে সব নারী-পুরুষ একে অন্যের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন না। কাকে বিয়ে করা যাবে আর কাকে বিয়ে করা যাবে না, এ ক্ষেত্রে ইসলামে একটি মৌলিক নীতি রয়েছে।
পুরুষ যেসব নারী বিয়ে করতে পারবে না:
পুরুষদের জন্য ১৪ শ্রেণির নারীর সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বৈধ এবং তাদের সঙ্গে বিয়ে নিষিদ্ধ। কিন্তু এসব নারী ছাড়া অন্য নারীদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করা পুরুষদের জন্য বৈধ নয়। তবে ইসলামী শরিয়তের শর্ত মোতাবেক তাদের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া বৈধ।
ওই ১৪ শ্রেণির নারী যথাক্রমে—(১) মা। (২) আপন দাদি, নানি ও তাদের ঊর্ধ্বতন নারীরা। (৩) সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোন। (৪) আপন মেয়ে, ছেলের মেয়ে, মেয়ের মেয়ে ও তাদের গর্ভজাত যেকোনো কন্যাসন্তান ও আপন ছেলেসন্তানদের স্ত্রী। (৫) যে স্ত্রীর সঙ্গে দৈহিক মিলন সংঘটিত হয়েছে, তার পূর্ববর্তী বা পরবর্তী স্বামীর কন্যাসন্তান এবং স্ত্রীর মা—অর্থাৎ শাশুড়ি, নানি শাশুড়ি ও দাদি শাশুড়ি। (৬) ফুফু—অর্থাৎ পিতার সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোন। (৭) খালা—অর্থাৎ মায়ের সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোন।