নিত্যপণ্যের দাম একযোগে বাড়লে জনজীবনে এর কী প্রভাব পড়ে, তা আমরা জানি। এ অবস্থায় বহুল ব্যবহৃত ওষুধের দামও বেড়ে গেলে কী হয়, তা-ও সহজে অনুমেয়। গত এক-দেড় বছরে সে অবস্থারই সৃষ্টি হয়েছে।
বলে রাখা ভালো, প্রয়োজনীয় ওষুধের প্রায় ৯৫ শতাংশই দেশে উৎপাদিত হচ্ছে। আমাদের কোম্পানিগুলো এমনকি পশ্চিমা দুনিয়ায়ও তা রপ্তানি করছে। দেশে উৎপাদিত যেসব পণ্য নিয়ে গর্ব করা যায়, তার মধ্যে রয়েছে ওষুধ। যদিও এর কাঁচামালের সিংহভাগ আমদানি করতে হয়। ওষুধ প্রস্তুত করতে গিয়ে এখানে যে মূল্য সংযোজন হয়ে থাকে, সেটাকে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই। দেশের ভেতর থেকে ওষুধ শিল্পে ব্যবহারযোগ্য কাঁচামালের সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগও রয়েছে। তাতে মূল্য সংযোজন বাড়বে। ওষুধের দাম কিছুটা কমানোও সম্ভব হবে হয়তো। দেশে উৎপাদিত ওষুধের দাম তুলনায় কম বলে এ খাতের প্রতিনিধিরা দাবি করে থাকেন। তবে ওষুধের দাম সম্প্রতি যেভাবে বেড়েছে, তার যৌক্তিকতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যে সামান্য পরিমাণ ওষুধ আমদানি হয়ে থাকে, তার দামও বেড়েছে। জীবন রক্ষাকারী ওষুধের আমদানি ব্যাহত হওয়ার খবরও মেলে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি ও এলসি জটিলতা এ জন্য প্রধানত দায়ী। চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানি অনেকখানি কমে আসার মতো উদ্বেগজনক খবরও রয়েছে।