বর্তমানে মোট বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রায় ৩৩ শতাংশই গ্যাস, কয়লা ও জ্বালানি তেলের অভাবে ভুগছে। এসব কেন্দ্রের ৯ হাজার মেগাওয়াটের সক্ষমতা থেকে দিনে গড়ে উৎপাদিত হচ্ছে সাড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াট। এতে লোডশেডিং বাড়ছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের একমাত্র রাষ্ট্রীয় সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তথ্য বিশ্লেষণ করে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
গত দেড় দশকে দেশে বিদ্যুৎকেন্দ্র ২৭টি থেকে বেড়ে ১৫৩টি হয়েছে। বিচ্ছিন্ন চর, দুর্গম পাহাড়েও বিদ্যুৎ–সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সরকার শতভাগ বিদ্যুতায়নের অর্জন উদ্যাপন করেছে। আর এখন শহর-গ্রাম সবখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে ভুগছে মানুষ। চাহিদার চেয়ে বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও জ্বালানিসংকটের কারণে তা কাজে লাগছে না।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের এমন সংকটের জন্য অব্যবস্থাপনা ও আমদানিনির্ভর পরিকল্পনাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পিজিসিবির হিসাবে দেখা গেছে, দেশে মোট ১৫৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি বড় অংশ কারিগরি কারণে বন্ধ থাকে। ৩ জুন কারিগরি কারণে ৪৬টি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ ছিল। একই দিন জ্বালানিস্বল্পতার কারণে সক্ষমতার পুরোটা ব্যবহৃত হয়নি ৫৬টি কেন্দ্রের। এরপর ৪ জুন কারিগরি কারণে বন্ধ ছিল ৫০টি কেন্দ্র। আর জ্বালানি সমস্যায় ছিল ৫২টি কেন্দ্র। ৫ জুনও কারিগরি কারণে বন্ধ ছিল ৫০টি কেন্দ্র। আর জ্বালানির অভাবে ঠিকমতো উৎপাদন করতে পারেনি ৫১টি বিদ্যুৎকেন্দ্র। সব মিলিয়ে জ্বালানিসংকটে ভুগছে এমন কেন্দ্রগুলো ৯ হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতা থেকে গড়ে উৎপাদন করছে সাড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াট। এর বাইরে বাকি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে দিনে গড়ে উৎপাদিত হচ্ছে ৮ হাজার মেগাওয়াট।