গ্রামের নিতান্ত সাধারণ শিশু রিফাতের সরলতায় অনেকেই মুগ্ধ হয়েছেন, কারও চোখে পানি এসেছে! দেশের সাড়ে সাত লাখ কোটি টাকার বাজেটে তার মতো মাদ্রাসাপড়ুয়া প্রায় ১৪ লাখ কওমি, হাফেজি, নুরানি ইত্যাদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য মোট বরাদ্দকৃত অর্থ শূন্য টাকা। কওমি শিক্ষার উচ্চ স্তরের ‘নামমাত্র’ স্বীকৃতি সেখানে রাজনীতির উপস্থিতিকে জানান দিলেও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার দিক থেকে বিষয়টি লাখ লাখ শিশুর ভাগ্য নির্ধারণে সরকার ও রাষ্ট্রের অনুপস্থিতিকেও নির্দেশ করে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে শিশু রিফাতকে ক্লাসে শিক্ষক প্রশ্ন করছেন, আমাদের জাতীয় মাছ কী? রিফাত আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে চিৎকার করে উত্তর দিচ্ছে, জাতীয় মাছ পাঙাশ! ছোট্ট হয়েও শিশুটি সবচেয়ে যৌক্তিক উত্তরই দিয়েছে। দেশের ধনবৈষম্য আমাদের গরিবদের এমন প্রান্তিক অবস্থানে ঠেলে দিয়েছে, যাদের কাছে ইলিশ, গরু, মুরগিসহ প্রাণিজ প্রোটিন আজ সোনার হরিণ অর্থাৎ ‘ফার বিয়োন্ড লাক্সারি’। রিফাতদের আমিষের একমাত্র উৎস পাঙাশই, ফলে তাঁর চোখে যৌক্তিকভাবেই পাঙাশ জাতীয় মাছ হওয়ার দাবিদার!