একটি মৃত্যুপুরী থেকে এক বছরের ব্যবধানে দেশের সর্বাধুনিক ডিপোতে রূপান্তরিত হয়েছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপো। বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক ফায়ার সেফটি সিস্টেম। মানা হচ্ছে আইএমডিজি (ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ডেঞ্জারাস গুডস) কোডের সবগুলো শর্তও। নতুন করে বানানো হয়েছে আমদানি-রপ্তানি পণ্য রাখার শেড। পুরো ডিপোতে এখন নতুনত্বের ছোঁয়া।
ডিপো কর্তৃপক্ষ বলছে, পুরো ডিপোকে নতুন করে গড়ে তোলা হয়েছে। নিহত সবার পরিবারকে দেওয়া হয়েছে ক্ষতিপূরণের অর্থ। আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। পাশাপাশি ডিপোতে পণ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে সীতাকুণ্ডের কেশবপুরে ২৪ একর জায়গায় বিএম ডিপো গড়ে ওঠে। ২০১১ সালের মে মাসে ডিপোর অপারেশন শুরু হয়। গত বছরের ৪ জুন দিনগত রাতে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ মারা যান ৫১ জন। দুর্ঘটনায় প্রায় হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করে আসছে ডিপো কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটি ফায়ার সার্ভিসের নিহত কর্মীদের ১৫ লাখ ও আহতদের ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নিহত ১৩ পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা করে দিয়েছে বিএম ডিপো কর্তৃপক্ষ। আহতদেরও দেওয়া হয়েছে প্রতিশ্রুত ক্ষতিপূরণ।