ঢাকার মিরপুরের কাজীপাড়ার বাসিন্দা মো. এহসান পেঁয়াজ কিনতে এসে মুদি দোকানি শামীম হোসেনের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতেই জড়িয়ে গেলেন; ক্রেতা বাড়তি দাম নেওয়ার জন্য দুষছেন আর দোকানি দায় দিচ্ছেন বড় ব্যবসায়ীদের।
রোববার দুপুরে আধা কেজি পেঁয়াজ নিতে এসে দাম শুনেই চমকে যান এহসান। এ নিয়ে এক-দুই কথাতেই বচসা শুরু হয় ক্রেতা-বিক্রেতা দুজনের মধ্যে। এরমধ্যে জোরের সঙ্গেই এহসান বলে উঠলেন, “আপনারা কোরবানি ঈদ আসলেই এসব করেন। পেঁয়াজ সব স্টক করে দাম বাড়ান।”
বিক্রেতা শামীমের সোজাসাপ্টা উত্তর, “আমার অত খবর নেয়ার কি দরকার, এক বস্তা নিছি, যারা বড় ব্যবসায়ী তারা জানে।”
হুট করে চড়তে থাকা পেঁয়াজের দাম নিয়ে এখন প্রায় সব দোকানেই ক্রেতার প্রশ্নের মুখে পড়ছেন বিক্রেতারা। এক থেকে দুই দিনের মধ্যে দামের পার্থক্য অনেক বেড়ে যাওয়া দেখে ক্ষোভ থেকে প্রশ্ন করছেন দোকানিদের। তবে বাজার ঘুরে দেখা গেছে রোববারের পরিস্থিতি ছিল বেলায় বেলায় বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।
পাইকারি আড়তে সকালে যে দামে পেঁয়াজ কিনছেন খুচরা বিক্রেতারা, বিকালে একই আড়তে তাদের কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। পেঁয়াজের দাম বাড়তে বাড়তে সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে, খুচরা বাজারে কোথাও সেটা রোববার চড়ছে ১১০ টাকা কেজিতেও।
এমন পরিস্থিতিতে এদিন বিকালে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার কথা জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়; সোমবার থেকে যা শুরু করা যাবে।