সংসদীয় আসনের সীমানা পরিবর্তনে নির্বাচন কমিশনের কাছে মুখ্য ছিল প্রশাসনিক সুবিধা, ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং ভোটার ও স্থানীয় জনসাধারণের চাহিদা। এক্ষেত্রে কে কী বলেছেন কমিশন সেটাকে গুরুত্ব দেয়নি বলে উল্লেখ করেছেন সীমানা পুন:নির্ধারণ কমিটির প্রধান ও নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
রোববার দুপুরে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইসির লক্ষ্য ছিল সংসদীয় আসনের সীমানা যত কম সম্ভব পরিবর্তন করা। কিন্তু আইনে বলা আছে, খসড়া প্রকাশ করতে হবে এবং আপত্তি থাকলে তা গ্রহণ করতে হবে। এজন্য ইসি খসড়া প্রকাশ করে। এই খসড়া পরিবর্তন করার জন্য ৩৮টি আসনের সীমানায় পরিবর্তনের জন্য ১২৬টি আবেদন পড়ে। কমিশন এরপর শুনানির আয়োজন করেছে। সব পক্ষের বক্তব্য শুনে দীর্ঘ সময় ধরে ইসি পর্যালোচনা করেছে।’
মো. আলমগীর বলেন, ‘সম্ভাব্য প্রার্থীদের চেয়ে ভোটারদের বক্তব্য ইসির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ভোটারদের সবাইকে ডাকা যায় না। যারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থাকেন বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, মেম্বার, কাউন্সিলর এবং উপজেলার যারা চেয়ারম্যান ছিলেন, তারা যে বক্তব্য রেখেছেন সেগুলো এবং বর্তমানে সংসদ সদস্যদের বক্তব্য ইসি শুনেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়ত স্থানীয় সংসদ সদস্য এক রকম বলছেন, আবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অন্য রকম বলছেন।’