ঢাকায় দিনে, রাতে কিংবা ভোরে বিদ্যুৎ যাচ্ছে নিয়মিত বিরতিতে; ঘড়ির কাঁটায় মেপে মেপে কোথাও আসছে এক ঘণ্টা কোথাওবা এরও বেশি সময় পর, গ্রামের অবস্থা আরও সঙ্গীন। তাপদাহের মধ্যে ভ্যাপসা এ গরমে লোড শেডিংয়ের সেই সময়টুকু যেন এক যন্ত্রণা হয়ে ঘুরে ফিরে আসছে দিনে-রাতের বড় একটা সময়জুড়ে।
শুধু ঘরেই ভুগতে হচ্ছে তা নয়, অফিস আর সব ধরনের প্রতিষ্ঠানের মতো বাদ যাচ্ছে না শিল্প কারখানাও; বিঘ্নিত হচ্ছে উৎপাদন, বাড়ছে ব্যয়।
মাঝে কিছুটা সময় কমলেও তাপপ্রবাহ নিয়ে হাজির হওয়া গ্রীষ্মের মধ্যে তা এখন র্ধেয্যের পরীক্ষাকে চরমে নিয়ে যাচ্ছে। জ্বালানি সংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়াই এর কারণ। গ্যাস, কয়লা ও তেল- তিন মাধ্যমের বিদ্যুৎকেন্দ্রই একের পর এক বন্ধ হচ্ছে, আগে থেকে যেগুলো বন্ধ সেগুলোও চালু হচ্ছে না। এতে চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ সংকটে বাড়ছে লোড শেডিং; কবে মুক্তি মিলবে অসহনীয় এ দুর্দশা থেকে, সেই প্রশ্ন নগর-গ্রাম সবখানের বাসিন্দাদেরই।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ নিয়ে আগের মতই দুঃখ প্রকাশ করলেও দুর্ভোগ কবে কাটবে সেই ভালো সময়ের বদলে আরও কিছুটা ভুগতে হবে বলেই ইঙ্গিত দিচ্ছেন।
শনিবার ঢাকার সাভারে তিনি বলেন, “কয়েকটা বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল না থাকায় লোড শেড বেড়ে গেছে, কিছুটা জনদুর্ভোগ হচ্ছে। এই কারণে আমরা খুবই দুঃখিত বিষয়টি নিয়ে।
“আমাদের এই মুহূর্তে কিছুটা লোড শেডিং চলছে এবং এটা কিছুদিন যাবে।”
তবে পিডিবির প্রকৌশলীরা পরিস্থিতি উন্নতির আশা দেখছেন। কিছু কেন্দ্রে গ্যাস পাওয়ার আভাস তাদের আশাবাদী করছে। একই সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণে থাকা কিছু কেন্দ্র উৎপাদনে ফিরবে, ভারতের আদানির কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আসা বাড়বে এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কয়লাভিত্তিক একটি কেন্দ্র চালু হবে।