গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় রাষ্ট্র পরিচালিত হবে জনগণের প্রত্যক্ষ মতের ভিত্তিতে। নির্বাচন কমিশন বা ইসি সম্মানিত নাগরিকদের মতামত গ্রহণ করবে। নাগরিকদের মতপ্রকাশের মাধ্যম হচ্ছে ভোট। এই ভোট ব্যবস্থার আয়োজন, গ্রহণ, ভোট গণনা, ফল প্রকাশ করার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। কমিশন এ দায়িত্ব পালন করে বেশ কিছু নীতিমালা ও পদ্ধতি মেনে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনকালীন অনেক ক্ষমতাও দিয়েছে রাষ্ট্র। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কমিশন সরকারের কাছে যে কোনো সহায়তা চাইতে পারে এবং সরকার তা দিতে বাধ্য। অতএব ইসি নির্ধারিত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকলেই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করা যায়।
জাতীয় নির্বাচনের এখনও সাত-আট মাস বাকি। এখনই মাঠ পর্যায়ে নাগরিকদের ভোট প্রদান বিষয়ে সচেতন করে তুলতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। এসব পদক্ষেপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে নাগরিকদের ভূমিকা ও দায়িত্ব সম্পর্কে প্রচারপত্র বিলি করা। এ প্রচারপত্রে থাকবে ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে গণপ্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভুল করলে নাগরিক সমাজ কী কী ক্ষতির সম্মুখীন হবে এবং রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানে নাগরিকদের গুরুত্ব সর্বাধিক– এ বিবেচনায় তাদের সচেতন করতে প্রতিটি জেলা-উপজেলায় বিভিন্ন কমিউনিটি সেন্টারে নাগরিক সমাবেশের আয়োজন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তাদের ভূমিকা তুলে ধরে নির্বাচন কর্মকর্তার বক্তব্য প্রদান এবং নাগরিকদের মতামত গ্রহণ করা। এসব সমাবেশে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রশাসনিক প্রচারপত্র বিলি করা। নির্বাচন কমিশনাররা সারাদেশে এসব নাগরিক সমাবেশ যথাযথভাবে হচ্ছে কিনা, তা তদারক করবেন এবং তা নির্বাচনের আগ পর্যন্ত চালু রাখবেন। এমনকি নির্বাচন কমিশনারের উদ্যোগে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমাবেশ করে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রার্থীদের অঙ্গীকারও নেওয়া যায়।