তার পেশা পূর্বপুরুষদের খুঁজে বের করা!
শামসু দীন যখন জানতে পারেন যে তার দাদা মুনরাদিন একজন চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক হিসেবে ক্যারিবিয়ানে এসেছিলেন, তখন তিনি এই প্রক্রিয়া এবং এটির ফলে পরিবারগুলোর উপর কী প্রভাব পড়েছে- তা নিয়ে কৌতূহলী হয়ে ওঠেন। ১৯৭২ সালে তিনি ত্রিনিদাদের রেড হাউজে যান এবং শত শত নথিপত্রের স্তূপের মধ্যে সেই রহস্য মানব- নিজের দাদার সম্পর্কে তথ্য খুঁজতে থাকেন।
শামসু দীন বলেন, প্রতিটি কেসই একেকটা ধাঁধার মতো। ছবি: শামসু দীন/বিবিসি
"প্রতিবার যখন কোনো নিখোঁজ পরিবারকে খুঁজে পাই, তখনই আমি ভীষণ আবেগপ্রবণ ও উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ি। আমার মনে হয় এটা আমার একটা অর্জন", বলছিলেন ৭৬ বছর বয়সী শামসু দীন। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর বাসিন্দা শামসু দীন বিগত ২৫ বছর ধরে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের পরিবারগুলোকে ভারতে তাদের হারিয়ে যাওয়া আত্মীয়স্বজনকে খুঁজে পেতে সাহায্য করে আসছেন। সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত এমন ৩০০ মানুষকে সাহায্য করেছেন তিনি।
একসময়ের ব্রিটিশ উপনিবেশ ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে এদের পূর্বসূরিরা এসেছিলেন চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক হিসেবে। ১৮০০ শতক এবং ১৯০০ শতকের শুরুর দিকে তারা এ অঞ্চলে এসেছিলেন। কিন্তু কালের পরিক্রমায় দেশে ফেলে আসা পরিবার-পরিজনের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
একসময় পেশায় ভূগোলের শিক্ষক শামসু দীন এখন একজন বংশতত্ত্ববিদ। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে আসা ভারতীয় চুক্তিবদ্ধ শ্রমিকদের উত্তরসূরিদেরকে তিনি সাহায্য করছেন তাদের হারানো পরিবার ও প্রিয়জনদের খুঁজে পেতে।