ডেঙ্গুর দাপটে রাজধানীবাসী আতঙ্কের মধ্যে জীবনযাপন করছে। গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় ৬ গুণ বেড়েছে মশাবাহিত এ রোগ। জানা গেছে, গত এক মাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৯৪১ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরের গত ৫ মাসে ১ হাজার ৯২৭ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন। আর এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৩ জন। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যু। এখনই মশক নিধনে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া না হলে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। বর্ষা মৌসুম এখনো শুরু হয়নি। বর্ষা মৌসুমে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সবাইকে সতর্ক এবং সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা জানান, বর্ষা আসার আগেই থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে, ওয়াসার মিটারের গর্তে জমে থাকা পরিষ্কার পানি, ফুলের টবে জমে থাকা পানি, ফ্রিজের নিচে জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার প্রজনন ও বংশ বিস্তার ঘটে। গত কয়েক বছরের তথ্যের সঙ্গে তুলনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এ বছর এ সময় পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অন্যান্য বছরের কয়েকগুণ বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে হাসপাতালে এ বছর জানুয়ারিতে ৫৬৬, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬, মার্চে ১১১, এপ্রিলে ১৪৩ এবং মে মাসের ২০ দিনে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন ৪৬১ জন। এর আগে ২০১৯ সালে দেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।