‘টেকসই দুগ্ধশিল্প; সুস্থ মানুষ, সবুজ পৃথিবী’ প্রতিপাদ্যে আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস। পরিসংখ্যানমতে, দেশের ২০ শতাংশ মানুষ দুধ পান করেন না। যাদের পাকস্থলী দুধ সহ্য করতে পারে না, তাদের উচিত দুগ্ধজাত অন্য খাবার খাওয়া। পাশাপাশি আমদানি-নির্ভরতা কমাতে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে শিল্পটিকে টেকসই করতে পারলেই সবুজ পৃথিবী বাস্তবায়িত হবে।
এক সময় গ্রামবাংলায় লোকমুখে শোনা যেত– যাদের বাড়িতে একটি গাভি রয়েছে, তাদের ডাক্তারের দরকার নেই। মাছে-ভাতে বাঙালির যেমন গোলাভরা ধান ছিল, পুকুরভরা মাছ ছিল; তেমনি বাড়িতে ছিল একটি গোয়ালঘর, যেখানে অন্তত দুটি গাভি ছিল। একটি গাভি বছরের ছয় মাস দুধ দিত, অন্যটি পরের ছয় মাস। তার মানে, খাদ্যতালিকায় দুধের উপস্থিতি ছিলই। এ কারণে হয়তো সে সময়ের মানুষ এখনকার মতো রোগাক্রান্ত হতো না। সময় বদলেছে। এখন গ্রামের কম বাড়িতেই গোয়ালঘরের দেখা মেলে। আর থাকলেও গোয়ালঘরের সামনে জৈবসারের স্তূপ দেখা যায় না। খড়ের গাদা এবং গরুকে পানি ও ভুসি খাওয়ানোর চাড়িও হারিয়ে গেছে।