বাংলাদেশের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে নতুন ভিসানীতি নিয়েছে, সেটি জানা গেল বেশ একটু দেরিতে এবং বাংলাদেশ সরকারের কারও কাছ থেকে নয়, বরং তাদের তরফ থেকে। সরকার কেন জানায়নি, সেটি বুঝতে অসুবিধা হয় না। তবে যুক্তরাষ্ট্র এ বিশেষ নীতি গ্রহণের বিষয় জানাতে কেন দেরি করল, তার সদুত্তর এখনো মেলেনি।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা জোরদারে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সরকারের ঘোষিত অঙ্গীকার রয়েছে। বাইডেন প্রশাসন আয়োজিত গণতন্ত্র সম্মেলনে পরপর দুবার বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি, সেটিও স্মরণ করা যায়। বাংলাদেশে উল্লেখ করার মতো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সচল থাকলে ঘটনা নিশ্চয়ই ভিন্নধারায় বইত।
এ ধরনের পৃথক ভিসানীতি অন্তত গৃহীত হতো না। এর একটি ধারাবাহিকতাও রয়েছে। বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাবের ক’জন কর্মকর্তার ওপর সুনির্দিষ্ট অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বসে আছে যুক্তরাষ্ট্র। সেটি প্রত্যাহারে বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে কম প্রয়াস চালানো হয়নি। তবে র্যাবসহ পুলিশের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘন পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে বলে মনে হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আসেনি, সেটিও ঠিক।