আচ্ছা, গত রাতে কয় ঘণ্টা ঘুমিয়েছেন? ৮ ঘণ্টা বা তার বেশি কি? একটু ঝামেলায় ছিলেন সেজন্য পারেননি, তাই তো? ঠিক আছে, তাহলে এবার বলুন সর্বশেষ কবে টানা ৮ ঘণ্টার বেশি ঘুমিয়েছেন? আমার ধারণা, বহু চেষ্টা করেও অনেকেই সেটা মনে করতে পারবেন না। অথচ বিশেষজ্ঞদের মতে, শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য আমাদের প্রতিদিন অবশ্যই ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। তাহলে আমরা সেটা করছি না কেন?
বিশেষ প্রয়োজনে ইদানীং ‘ঘুম’ বিষয়ে পড়াশোনা করছি। যতই পড়ছি, বিস্ময়ের সীমা থাকছে না। আমরা তথাকথিত ‘আধুনিক’ হওয়ার নামে নিজেদের যে কী ভয়ংকর ক্ষতি করছি, তা বোঝার জন্য পরিবারের সদস্যদের ঘুমের প্রবণতা খেয়াল করুন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিতভাবে প্রয়োজনের চেয়ে কম ঘুমানো আত্মহত্যার শামিল! তাহলে আমরা কী দল বেঁধে আত্মাহুতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি?
গবেষণা বলছে, মানুষই একমাত্র স্তন্যপায়ী প্রাণী, যারা ইচ্ছা করে ঘুমাতে দেরি করে! অর্থাৎ ঘুমের অনুভূতি তীব্র হওয়ার পরও তারা নিজেকে জাগিয়ে রাখে। আবার বর্তমান বিশ্বে টিনএজার গোষ্ঠী সবচেয়ে কম ঘুমাচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদে এর পরিণতি মানব অস্তিত্বের জন্য হুমকিও হতে পারে! কী বুঝতে অসুবিধা হলো? তবে জেনে রাখুন: খাদ্য সংকটের চেয়ে ঘুম সংকটে মানুষ দ্রুত মারা পড়ে! অর্থাৎ খাদ্যদ্রব্য ছাড়াও দু-তিন মাস বাঁচার দৃষ্টান্ত থাকলেও ঘুমের ক্ষেত্রে এ মাত্রা ছিল ১১ দিন।