ম্যাট রঙের ছোট একটি পাখা। দেখলে মনে হবে খেলনা। ওজন কম বলে পাঁচ আঙুলের ভেতরেই এঁটে যাবে। যেকোনো সময় ব্যবহার করা যায়, এমনকি চাইলে সঙ্গে করে নিয়ে বেরিয়েও পড়তে পারেন। সাধারণত শিশুদের গরম সহ্য করার ক্ষমতা কম থাকে। তাদের জন্য এ ধরনের ফ্যান বেশ কার্যকর। দৃঢ় গঠন ও চাপপ্রতিরোধী হওয়ায় সহজে ভাঙবেও না। এ ছাড়া বাড়তি কোনো কেব্ল নেই বলে সুরক্ষিতও থাকে।
হাতে ধরে রাখা যায়, আবার দাঁড় করিয়ে রাখার সুবিধাও আছে। ভালো মানের হলে ঘন ঘন চার্জ দেওয়ারও ঝামেলা নেই। কোন গতিতে চলছে, তার ওপর নির্ভর করে ৩ থেকে ৯ ঘণ্টা পর্যন্ত চলতে পারে এসব ফ্যান। ‘মিনিসো’তে ঢুঁ মেরেছিলাম এই ফ্যানের খোঁজে। সেখান থেকেই জানা গেল, চার্জ দিলে মাঝামাঝি গতির বাতাস পাওয়া যায় ছয় থেকে আট ঘণ্টা। মশা তাড়াতেও ব্যবহার করতে পারেন। নড়াচড়া করা যায় বলে যেকোনো দিকেই ঘোরানো যায় এই পাখা।
চুলার সামনে আগুনের উত্তাপে গরমটা একটু বেশিই লাগে, শরীরও পাল্লা দিয়ে ঘামতে থাকে। আছে ঘাড়ে রাখার উপযোগী ফ্যান। এগুলো তৈরিই করা হয়েছে তাপ–সহনীয় উপাদান দিয়ে। দূরদূরান্তের ভ্রমণে, বিদ্যুৎ–সরবরাহ অনিয়মিত এমন স্থানে ব্যবহারকারীকে কিছুটা হলেও আরাম দিতে পারে এই ফ্যান। ব্যাগের এক কোনাতেই জায়গা করে নেয় নিজের মতো করে। গরম আর ঘাম সরাসরি প্রভাব ফেলে রূপসজ্জার ওপর। সেজে বের হলে এই ফ্যান চেহারার কাছেই রাখুন এখন।