ঘর থেকে দুই’পা শুধু নয়, দেহ মন বাইরে রেখে বেঁচে চলা মানুষ আমি। ঘর সুন্দর। ঘরের মানুষেরা সুন্দর বলেই। অন্দরের এই সুন্দরকে দেখার চোখ তৈরি করে দেয় বাহির। তাই উঠান পথ, আমার প্রিয়। পথে নামতে ছুতো খুঁজি। সাম্রাজ্য জুড়ে কত কিছুরই তো অভাব। শুধু নেই ছুতোর কমতি। তাই ছুতো একটা বগলবন্দি করে নেমে পড়ে পথে।
ঋতু ঘড়ি দেখে, একেকবার একেক পথ ধরি। শুধু কি পথ দেখি, মুগ্ধ হই খাল-নদীর জল, পাট নিংড়ানো, ধান মাড়াই, মহিষের চোখ, ফিঙের আহ্বান, পুরোনো কোনো পাকুড় বা মেঘ শিরিষ, ভেঙে যাওয়া ঘাট-হাটে? না, ওখানেই শেষ হয় না মুগ্ধতার দিগন্ত। মানুষ না দেখলে অপূর্ণ রয়ে যায় সুন্দরের স্বাদ। আমি মানুষ দেখি। মানুষের বদলে যাওয়া দেখি। তার যাপনের বদলে যাওয়ার ইতিহাসই তো জনপদ, রাষ্ট্র এবং পৃথিবীর ইতিহাস।