ছোট্ট ভূখণ্ডে অত্যধিক জনসংখ্যার দেশ বাংলাদেশ। ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক অস্থিরতা, সুশাসনের অভাব, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা, আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রতা, ঘুস-দুর্নীতি, অদক্ষ বন্দর, যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি সমস্যা সত্ত্বেও ধারাবাহিকভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে। দেশী-বিদেশী অর্থনীতিবিদদের অনেকেই এটাকে ‘বাংলাদেশ মিরাকল’ বলে বিস্ময় প্রকাশ করেন। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, এর পেছনে অন্যতম ভূমিকা রেখেছে সস্তা শ্রম। নিম্ন আয়ের দেশ থাকা অবস্থায় সস্তা শ্রমের ওপর নির্ভর করে উন্নয়ন স্বাভাবিক বিষয় হলেও বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ। লক্ষ্য উচ্চমধ্যম আয়ে উন্নীত হওয়া। এক্ষেত্রে শ্রমমজুরি যেমন বাড়াতে হবে, তেমনি বাড়াতে হবে শ্রমের উৎপাদনশীলতা ও শ্রমিকের দক্ষতা। যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ, কারিগরি শিক্ষা জোরদার এবং আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে সস্তা শ্রম থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে আসতে পারে। এতে অধিক মূল্যসংযোজনের মাধ্যমে অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখতে সক্ষম হবে সবাই।