সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আজ ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিপথগামী একদল সেনাসদস্যের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন জিয়াউর রহমান।
আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধ, সেনাবাহিনী ও রাজনীতির এক বহুমুখী চরিত্র জিয়াউর রহমান। সবার আগে জিয়াউর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা। দেশের মানুষের কাছে জিয়াউর রহমানের প্রথম পরিচয় ঘটে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ, বেতার ঘোষণার মাধ্যমে।
পরিবার-পরিজনের নিরাপত্তাকে তুচ্ছজ্ঞান করে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতেই তিনি বিদ্রোহ করেন এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন। সন্দেহ নেই, তিনি ছিলেন একজন দক্ষ সমরবিদ ও সেনানায়ক। আবার পরবর্তী সময় তিনি রাজনীতির মাঠেও কুশলতার স্বাক্ষর রেখেছেন।
রাজনীতিতে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে তাঁর প্রতিপক্ষের নানা আলোচনা ও সমালোচনা রয়েছে। একজন সেনা কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ৪৮ বছর পর সম্প্রতি সেই হত্যা মামলায় জিয়াউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত তাঁকে নিয়ে চলে নিন্দামন্দ। রাজনীতির একাংশ জিয়াউর রহমানকে রীতিমতো ব্রাত্যজনে পরিণত করেছে। তাঁর প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপিকে নিয়ে ঠাট্টা-মশকরাও করা হয় হরহামেশাই। কিন্তু জিয়াউর রহমান টিকে গেছেন বা রাজনীতির মাঠে উতরে গেছেন তাঁর উদ্ভাবনী চিন্তা ও দক্ষতা দিয়ে।
রাজনীতিবিদ জিয়াউর রহমান সম্পর্কে সব থেকে বড় সমালোচনা হচ্ছে, তিনি সেনানিবাস থেকে ক্ষমতায় এসেছিলেন। এটা ঠিক, এক বিশেষ সময়ে, বিশেষ প্রয়োজনে ক্ষমতার শীর্ষে চলে আসেন জিয়াউর রহমান। এটা তিনি জানতেন। কিন্তু একপর্যায়ে তিনি সামরিক পরিচয় মুছে ফেলে গণমানুষের রাজনৈতিক নেতায় পরিণত হন।