বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশিদের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ মে রাতে এমন একটি খবর আসে। এর আগে কয়েকটি গণমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছিল আরও কিছু নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আরও কিছু এ কারণে, ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর তৎকালীন র্যাবের ডিজিসহ ৭ কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এরপর থেকে জল্পনা-কল্পনা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের আরও কিছু নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গত বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জারি করা নতুন ভিসানীতি ঘোষণা এলো। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এটা কি বাংলাদেশিদের জন্য কোনো নিষেধাজ্ঞা না অন্য কিছু। যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশিদের জন্য কি অপমানের? না আনন্দের।
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার বহু দিন ধরেই কথা বলছে। যুক্তরাষ্ট্র চাইছে সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক। এ জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিদের আলোচনা হয়েছে। আর অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থেই যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিমালা ঘোষণা। আশা করা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপ আগামী নির্বাচনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
২৪ মে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এক বিবৃতিতে এ ঘোষণা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের কয়েকটি ধারা অনুযায়ী নতুন যে ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, সরকার সমর্থক এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। তার মানে হলো, একটি দেশের নির্বাচন পরিচালনার জন্য যে পক্ষগুলো যুক্ত থাকে তারা সবাই নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করলে এই নীতিমালার আওতায় পড়বে। যেখানে সরকারি দল বা বিরোধী দল বলে কথা নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত আসছে, তা সরকারকে জানানো হয়েছে গত ৩ মে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত কোনো আলোচনা শোনা যায়নি। বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনাই করেছেন।