শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার, বন্ড বা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগে নিট লাভ-লোকসানের ভিত্তিতে সমপরিমাণ অর্থ প্রভিশন বা মূলধন সংরক্ষণ করা যাবে। অতালিকাভুক্ত শেয়ারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বা সিকিউরিটিজের নিট সম্পদের পরিমাণ কমলে প্রভিশনও আনুপাতিক হারে করতে হবে।
গত সপ্তাহে নতুন করে সার্কুলার জারি করে বিনিয়োগের বিপরীতে প্রভিশনিংয়ের নিয়মাবলি পুনরায় ব্যাংকগুলোকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এতে নতুন কিছু নেই। মূলত ২০১১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এ-সংক্রান্ত সব সার্কুলার একত্রিত করে একটি সার্কুলার হিসেবে জারি করা হয়েছে।
সমন্বিত সার্কুলারটিতে বলা হয়েছে, শেয়ার, অর্থাৎ কোনো কোম্পানিতে মূলধনি বিনিয়োগ অথবা বন্ড বা ডিবেঞ্চার বা পারপেচুয়াল বন্ড বা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো লোকসান হলে প্রতিটি ক্ষেত্রে পৃথকভাবে নিট মুনাফা ও লোকসান হিসাব করে প্রভিশন করা যাবে। যেমন– তালিকাভুক্ত একাধিক কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি মুনাফা ও একটিতে লোকসান হলে, সার্বিকভাবে সব শেয়ারে নিট মুনাফা থাকলে প্রভিশন করার দরকার হবে না। তবে সাকল্যে লোকসান হলে সমপরিমাণ অর্থ প্রভিশন করতে হবে।