এমন কিছু সাধারণ উপসর্গ হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে, যা আমরা দেখেও অবহেলা করি। হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কোন কোন লক্ষণে ধরা সম্ভব?
বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো রোগ শরীরে বাসা বাঁধলে এ বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়া জরুরি। তবে অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, সময়ের অভাবে খাওয়া-দাওয়ায় অনিয়ম, অত্যধিক ব্যস্ততা, মানসিক চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি। প্রক্রিয়াজাত খাবার, ভাজাভুজি, বাইরের তেল-মসলাদার খাবার বেশি খাওয়ার অভ্যাসও কিন্তু হার্টের অসুখের দিকে আমাদের ঠেলে নিয়ে যায়।
হার্ট অ্যাটাক যে কোনো বয়সে, যে কোনো সময়ে হতে পারে। অনেকে মনে করেন, ছেলেদের হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বেশি। কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রেও ঝুঁকি থাকে। এমন কিছু সাধারণ উপসর্গ হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে, যা আমরা দেখেও অবহেলা করি। হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কোন কোন লক্ষণে ধরা সম্ভব–
১. হঠাৎ করে শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে? তা হলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা থাকতে পারে। শ্বাস নিতে কষ্ট হলে, দম আটকে এলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অযথা ফেলে রাখবেন না। হৃদযন্ত্রের কোনো রকম সমস্যা হলে ফুসফুসও অক্সিজেন কম পায়। তাই এই লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
২. এসিতে বসেও হঠাৎ ঘাম হচ্ছে? একটুতেই হাঁপিয়ে যাচ্ছেন? তা হলেও দুশ্চিন্তার কারণ রয়েছে। শরীরে রক্ত চলাচল ঠিকঠাক না হলে বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ঠিকমতো অক্সিজেন পায় না। তাতে হাঁপ ধরতে পারে।
৩. যদি মাঝরাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে দেখেন দরদর করে ঘামছেন, তা হলে উপেক্ষা করবেন না। এই লক্ষণ কিন্তু হৃদরোগের ইঙ্গিত দেয়।
৪. বুকে ব্যথা বা চাপ লাগার মতো অনুভূতি হলে অবশ্যই চিকিৎসককে জানান। চোয়ালে ব্যথাও কিন্তু হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ হতে পারে।
৫. মেয়েদের ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা, ঘাম হওয়া বা হাঁপ ধরা ছাড়াও পেটে অস্বস্তি, পিঠে ব্যথার মতো কিছু অন্যান্য লক্ষণও দেখা দিতে পারে।
৬. হঠাৎ করে জোরে নাক ডাকতে শুরু করেছেন? রাতে শোয়ার পরেই নাক বন্ধ হয়ে আসছে? গলা শুকিয়ে আসছে? এটি কিন্তু স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ হতে পারে। শরীরে স্লিপ অ্যাপনিয়া বাসা বাঁধলে কিন্তু সতর্ক হতে হবে, এই রোগের হাত ধরে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।
৭. হৃদযন্ত্র ঠিকমতো কাজ করতে না পারলে কিডনির ওপরও তার প্রভাব পড়ে। ফলে শরীর থেকে পানি ও সোডিয়াম ঠিকমতো বেরোতে পারে না। ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে পানি জমতে শুরু করে। ফলে হাত-পায়ের পাতা, গোড়ালি ফুলতে শুরু করে। এই লক্ষণ দেখলেও সতর্ক হতে হবে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।