রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আরশোলার মধ্যে পাওয়া গেছে মাল্টিড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি। বাহক হিসেবে এসব আরশোলার মাধ্যমে হাসপাতালজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এ ব্যাকটেরিয়া। এতে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের সুস্থ হতে লাগছে দীর্ঘ সময়, পাশাপাশি বেড়েছে চিকিৎসা ব্যয়, স্বাস্থ্য ও মৃত্যুঝুঁকি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) একদল গবেষকের পরিচালিত গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
যখন একটি একক ব্যাকটেরিয়া একাধিক অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতিরোধী হয়ে ওঠে তখন এটিকে মাল্টিড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট (এমডিআর) বা একাধিক ওষুধবিরোধী প্রতিরোধী বলা হয়। ২০২১ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত রামেক হাসপাতালের নিউরোমেডিসিন, অর্থোপেডিক ও সার্জারি ওয়ার্ডের আরশোলা নিয়ে গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। রাবির বিজ্ঞান অনুষদ থেকে প্রকাশিত ‘জার্নাল অব সায়েন্টিফিক রিসার্চ’-এর গত মে সংখ্যায় এ গবেষণাসংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষক দলটির প্রধান ছিলেন রাবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মনিকৃষ্ণ মহন্ত। বণিক বার্তাকে তিনি জানান, গবেষণার জন্য তারা হাসপাতালের ওই তিন ওয়ার্ডের রোগীদের খাবারের ক্যাবিনেট, আলমারি ও শৌচাগার থেকে আরশোলা সংগ্রহ করা হয়। পরে এসব নমুনার মাইক্রোবায়োলজিক্যাল বিশ্লেষণ হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের জেনেটিকস অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি গবেষণাগারে।