ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় যে প্রতিষ্ঠান থাকার কথা মুখরিত, সেখানে পুলিশেরও অবস্থান নিতে হয়, ক্ষুদেদের শিক্ষকদের লাঞ্ছিত হতে হয় বহিরাগতদের হাতে। এমনই ঘটনা ঘটে চলছে ঢাকার মিরপুরের মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। সম্পদশালী ও নামি এ প্রতিষ্ঠানটিতে ফিরেছে মাস দুয়েক আগের বিশৃঙ্খল দৃশ্য, তাতে বরাবরের মতো ভুক্তভোগী হচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাই।
প্রতিষ্ঠানটিতে প্রধান শিক্ষক পদে কে থাকবেন, তা নিয়ে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বার বার। এরইমধ্যে গত বৃহস্পতিবার স্কুলের মূল বালিকা শাখার সামনে শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে, তাতে আতঙ্ক ছড়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে।
শিক্ষকরা বলছেন, ৮৩৩ জন শিক্ষকদের মধ্যে বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষক রয়েছেন জনা পঞ্চাশেক। ২০০৭ সালের পর নতুন করে কাউকে এমপিওভুক্ত করা হয়নি। ২০০৯ সালে এমপিওভুক্তি প্রত্যাহারে শিক্ষকদের সাদা কাগজে স্বাক্ষর করতে তাদের বাধ্য করা হয়েছে। এখনও তারা চাইছেন এমপিওভুক্তই থাকতে।
তবে স্থানীয় রাজনীতিকরা ‘আর্থিকভাবে লাভবান হতে’ প্রতিষ্ঠানটিকে ট্রাস্টের অধীনে পরিচালনা করতে নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ শিক্ষকদের। ট্রাস্ট গঠনে ২০১৬ সালে নিবন্ধনও করা হয়েছে, আর তখন থেকেই পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির স্বাক্ষর না করায় এমপিওর আর্থিক সুযোগ-সুবিধা নিতে পারছেন না শিক্ষকরা। আর এই কয়েক বছর স্থানীয় রাজনীতিকরাই ছিলেন পর্ষদের নেতৃত্বে।
স্কুলটির অভিভাবক শায়লা ইয়াসমিন শনিবার বলছিলেন, “স্কুলের বাচ্চাদের নিয়ে এত নোংরামি কেন? বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ভয়ে আর কতদিন আমরা ঘরে বসে বাচ্চাদের পড়াশোনার ক্ষতি করব। কাল না হয় পাঠাব না, কিন্তু এরকম করে কতদিন চলবে?”