কয়েকটা দিন বেশ মেঘ-বৃষ্টি-ঝড় গেল। তাতে কি, গরম কিন্তু আবার ফিরে এসেছে। সঙ্গে ধুলাবালুর যন্ত্রণা। চুলের ওপরও এসবের বিরূপ প্রভাব পড়ে। চুল হয়ে পড়ে বেশ রুক্ষ, দেখায়ও শুষ্ক। বিশেষত যাঁদের চুল কোঁকড়া, তাঁদের এ সময় রুক্ষতা বেশ ভোগায়। কোঁকড়া চুল প্রাকৃতিকভাবেই শুষ্ক। কেরাটিন নামের যে প্রোটিন দিয়ে চুলের গঠন হয়, মূলত সেটির বিন্যাসের কারণেই কারও কারও চুল কোঁকড়া। জিনগত, জাতিগত ও ভৌগোলিক বিষয়ও চুলের আকৃতির নিয়ামক।
চুল ফেটে যেতে পারে এ সময়, বিশেষত চুলের আগা; চুল ছিঁড়েও পড়তে পারে। প্রচণ্ড গরমে কেরাটিন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে চুলের টেক্সচার, অর্থাৎ গঠনবিন্যাস নষ্ট হতে দেখা যায়। আবার গরমে মাথার ত্বকে সেবাস, অর্থাৎ প্রাকৃতিক নিঃসরণ বেশি হওয়ার কারণে চুলের গোড়া হয়ে পড়তে পারে তেল চিটচিটে। জমতে পারে ধুলাময়লা। এ ছাড়া গরমে চুল বিবর্ণও হয়ে পড়ে। খুশকিও দেখা দিতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই চুল পেকে যাওয়ার সমস্যাও দেখা যায়। গরমে কোঁকড়া চুলের নানাবিধ সমস্যা এবং সেগুলোর সমাধান জানিয়েছেন বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ বিউটি কেয়ারের রূপবিশেষজ্ঞ শারমিন কচি।
তেল চাই ঠিকঠাক
সপ্তাহে দু-তিন দিন মাথার ত্বকে এবং চুলে উষ্ণ তেল মালিশ করুন। এরপর ৫ থেকে ১০ মিনিট গরম ভাপ নেওয়া প্রয়োজন। তেল গরম করার সময়ই একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুলের নির্যাস যোগ করে দিতে পারেন। হেয়ার প্যাক লাগাতে হলে উষ্ণ তেল মালিশের আধ ঘণ্টা পর লাগানো ভালো।
গোসলেই যত্ন
রুক্ষ ভাব থেকে মুক্তি পেতে রোজ কন্ডিশনার ব্যবহারের বিকল্প নেই। গরমে একাধিকবারও গোসল করেন অনেকে। প্রতিবার গোসলের সময় হালকাভাবে শ্যাম্পু করে ফেলুন। তাহলে চুলের গোড়ায় ময়লা জমতে পারবে না। মৃদু কোনো প্রোটিন শ্যাম্পু বেছে নেওয়া ভালো। চাইলে কিছুদিন পরপর শ্যাম্পুর ধরন বদলাতে পারেন। প্রতিবার শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।