কর্নাটক নির্বাচন কেবল বিজয়ী কংগ্রেসের জন্য নয়, পরাজিত বিজেপিসহ সর্বভারতীয় ও আঞ্চলিক সব রাজনৈতিক দলের জন্যই জরুরি বার্তা হাজির করেছে। একটা রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের এই ফলাফল আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য লোকসভা নির্বাচনের যোগ-বিয়োগকেও আলোচনায় এনেছে। দক্ষিণ ভারতের কর্নাটকের ফলাফল ভারতের এই সময়ের রাজনীতির গতি-প্রকৃতিকে পাল্টে দিতে পারে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কেননা এখানকার ভোটের রাজনীতির অঙ্ক আগামীর রাজনীতির একাধিক মুখ খুলে দিতে পারে, যার সমূহ সম্ভাবনাও রয়েছে।
কর্নাটকে বিজেপির পরাজয়ের পেছনে কী কী কারণ থাকতে পারে? অবশ্য এই প্রশ্নের উত্তর তালাশ করার আগে স্মরণ রাখা প্রয়োজন যে, কেবল কর্নাটক নয় গোটা দক্ষিণ ভারতেই বিজেপি ভোটের রাজনীতিতে সুবিধা করে উঠতে পারছে না, শেষাবধি পারলও না। কর্নাটক দিয়ে তারা সেখানে একটা শক্ত ঘাঁটি গড়ে তুলতে চেয়েছিল। আশা তো পূরণ হয়নি, উল্টো পরাজয় হয়েছে বড় ব্যবধানে। অথচ এখানে বিজয়ী হতে চেষ্টার কমতি ছিল না বিজেপি নেতৃত্বের, রাজ্য পর্যায়ে তো বটেই, কেন্দ্রীয়ভাবেও। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবিধ ব্যস্ততা সত্ত্বেও একটা রাজ্য জয়ের লড়াইয়ে যতবার এসেছেন এবং বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন, তা বিস্ময়ের বৈকি। প্রশ্ন হলো, তার পরও কেন সুবিধা করে উঠতে পারল না। এর পেছনে ভারতীয় রাজনীতিতে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক কারণই কি মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে, নাকি অন্য কিছু, যার কোনোটা অনেক পুরনো।