ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার মির্জাপুর-হরষপুর সড়কটির অবস্থা খুবই শোচনীয়। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সড়কটি সংস্কারে দরপত্র আহ্বান করা হয়। কিন্তু ঠিকাদার নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় সড়কটির একাংশের নতুন পিচঢালাই করা জায়গা থেকে বিটুমিন ও পাথর উঠে যায়। গত ডিসেম্বর থেকে সংস্কারকাজ বন্ধ রয়েছে। সড়কটির দুরবস্থার কারণে এ পথে চলাচলকারীদের দিনের পর দিন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
একই অবস্থা ঝিনাইদহ সদরের ঝিনাইদহ-নারিকেলবাড়িয়া সড়ক এবং ঝিনাইদহ-হরিশংকরপুর সড়ক দুটির। সড়কের অনেক স্থান ভেঙেচুরে গেছে। জেলার মহেশপুরের কালীগঞ্জের লাউতলা-বালিয়াডাঙ্গা সড়কটিরও সংস্কার জরুরি হয়ে পড়েছে।
শুধু এই সড়কগুলো নয়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীন দেশের গ্রামীণ সড়কের একটা বড় অংশই বেহাল। এর মধ্যে সংস্কারের অভাবে প্রায় ২৫ শতাংশ সড়ক একেবারে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই সংস্থার অধীনে থাকা প্রায় ৫০ শতাংশ সড়কেরই মেরামত প্রয়োজন। এলজিইডির সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ শাখা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সরকারের জাতীয় সড়ক ব্যবস্থার শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী, দেশের সব উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়কের একক দায়িত্ব এলজিইডির। এলজিইডির আওতাধীন গ্রামীণ সড়কের উন্নয়ন-রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও সংস্থাটির। বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বিস্তৃত সড়ক নেটওয়ার্ক এলজিইডির। সংস্থাটির আওতায় মোট ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯২১ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে ৪৫ শতাংশ পাকা ও ৫৫ শতাংশ কাঁচা সড়ক। এলজিইডি সূত্র বলছে, সংস্থাটি সচরাচর কাঁচা সড়কগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে অর্থ বরাদ্দ দেয় না। এ কারণে বছরের পর বছর এই সড়কগুলো ভাঙাচোরা থাকে।