নানা কারণে রাতের ঘুম ব্যাহত হতে পারে। আবার কখনও বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়ায় সকালে শরীর ক্লান্ত লাগে। রাতে ঘুম না হলে যেকোন কাজে মনোযোগের ঘাটতি হয়। এ পরিস্থিতিতে বারবার চা-কফিতেও যায় না সেই ক্লান্তি। টানা ঠিকমতো ঘুম না হলে শরীরে একাধিক প্রভাব পড়তে বাধ্য। বিশেষজ্ঞরা বলেন, শুধু ক্রনিক ঘুমের সমস্যাই নয়, একদিনও যদি ঠিকমতো ঘুম না হয় তাহলেও প্রভাব পড়বে শরীরে।
ঘুমের মানের উপরেই কর্মক্ষেত্রে একজনের কাজের দক্ষতা, কাজের মান এবং ব্যবহার নির্ভর করে। মস্তিষ্ক সংক্রান্ত কাজের ক্ষেত্রে বিশেষ করে দেখা গেছে, চিন্তাশক্তি, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে আসে যদি ঠিকমতো ঘুম না হয়। ঠিকমতো পরিকল্পনা করে সেই অনুযায়ী কাজের ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হয়। কিন্তু ঠিকমতো ঘুম না হলেও পরদিন ঠিকমতো কাজ করে যেতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে যা করবেন-
কাজ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন: যদি সম্ভব হয় তাহলে কাজ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। জোর করে কিছু করার চেষ্টা না করাই ভালো।ওই দিন প্রচুর লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে হবে এমন কাজ এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। পাশাপাশি নিখুঁত মনসংযোগ চাই এমন কাজও এড়াতে পারলে ভালো। তবে একান্তই প্রয়োজন হলে দিনের শুরুতেই সেই কাজ করে নেওয়া ভালো।
নিজের উপর চাপ নয়: জোর করে কিছু করতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। এ কারণে ক্লান্ত থাকলে নিজের উপর অতিরিক্ত চাপ দেবেন না। যতটা পারবেন ঠিক ততটাই কাজ করবেন। ক্লান্তি বা ঘুম কাটাতে ছোট ছোট বিরতি নিন। প্রয়োজনে চা বা কফি খেতে পারেন।
নোট তৈরি: যদি একাধিক ছোট ছোট কাজ করতে হয় তাহলে ছোট ছোট নোট তৈরি করুন। তাতে লিখে রাখতে পারেন কী কী করতে হবে। পরে সেই নোট দেখিয়ে মিলিয়ে নেবেন আপনার কাজ।
খাওয়া-দাওয়ায় নজর: একেই ঘুম হয়নি, শরীর খুবই ক্লান্ত। তাই এদিন ইচ্ছা করলেও অতিরিক্ত মসলাদার খাবার খাবেন না। তাতে হজমের সমস্যা তৈরি হবে। এর পরিবর্তে হালকা ধরনের খাবার খান। অফিসে থাকলে দুপুরে ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন। নাহলে আরও বেশি ঘুম পাবে।