পরিবেশ ও প্রকৃতির সর্বনাশ করে যাচ্ছে ইটভাটা। সেগুলোর বেশির ভাগই অবৈধ ও অনুমোদনহীন। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর ভাটায় অভিযান চালিয়ে থাকে, জরিমানা করে থাকে, এমনকি অনেক ভাটা গুঁড়িয়েও দেওয়া হয়। কিন্তু দিন শেষে দেখা যায়, সে ভাটার চিমনি থেকেই বের হচ্ছে ইট তৈরির ধোঁয়া। তার মানে হচ্ছে, যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তা কোনোভাবেই যথেষ্ট নয়।
অনেক সময় সেসব অভিযান লোকদেখানো বলেও অভিযোগ ওঠে। ইটভাটার ক্ষেত্রে ভয়াবহ যে বিষয়টি কয়েক দিন পরপর সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে, তা হলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গা ঘেঁষে অনেক ভাটার অবস্থান। যেমনটি আমরা দেখতে পাচ্ছি মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে।
সেখানে একটি মাদ্রাসার একেবারে গায়ের ওপর এসে পড়েছে একটি ইটভাটা। ফলে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে মাদ্রাসাটির শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমে গেছে। বিষয়টি উদ্বেগজনক।