আগের দুটি জাতীয় বাজেট প্রস্তাবনার সময়ই আমরা বড় সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম। ২০২১-২২-এর বাজেট যখন মহান জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছিল তখন মনোযোগের কেন্দ্রে ছিল করোনাজনিত সংকট থেকে পুনরুত্থানের নীতিকৌশল। তার পরের বছরের বাজেটে ভাবতে হয়েছে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে। এবার, অর্থাৎ আসছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের সময়ও রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বৈশ্বিক অভাবনীয় মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার কথা মাথায় রাখতে হচ্ছে বাজেটপ্রণেতাদের। তবে একই সঙ্গে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে শেষ বাজেট হতে যাচ্ছে এবারেরটি।
তা ছাড়া আইএমএফের কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট বেশকিছু শর্তপূরণের বাড়তি চাপও রয়েছে। সার্বিক বিচারে নিছক আয়-ব্যয়ের হিসাব নয়, বরং এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য একটি জাতীয় মনস্তাত্ত্বিক দলিল হিসাবে এবারের বাজেটটি আলাদা তাৎপর্যের দাবিদার। বিশেষ করে ঊর্ধ্বমুখী দ্রব্য ও সেবা মূল্য পরিস্থিতির মাঝে কি করে প্রায় ষাট হাজার কোটি টাকারও বেশি বাড়তি রাজস্ব কী করে সমাবেশ করা যাবে নীতি-নির্ধারকদের সেই দুশ্চিন্তার কথাটি নিশ্চয় উপেক্ষা করার মতো নয়। এজন্য বাড়তি করক্ষেত্র সন্ধান এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে করছাড়ের সুযোগ সংকুচিত করতেই হবে। আসন্ন বাজেটকে তাই একাধারে খুবই সতর্কতার সঙ্গে প্রণয়ন করতে হবে, অন্যদিকে নয়া পথের সন্ধান দিতে হবে। বিশেষ করে সাধারণ মানুষের নির্বিঘ্ন জীবনচলার বিষয়টি অবিশ্যি অগ্রাধিকারের দাবি রাখবে।