সোমালিয়ার কেন্দ্রস্থল দিয়ে বয়ে যাওয়া শাবেলে নদীর পাড় ভেঙে উপচানো পানি বেলেদোয়েইনে শহর প্লাবিত করার পর সেখানকার প্রায় আড়াই লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
আফ্রিকার দেশটি চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার কাল পার করার পরই বন্যার কবলে পড়ল, সোমালিয়ার সরকারের দেওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিশ্বব্যাপী মানুষের বিপদ আরও তীব্র করা বিষয়গুলোর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনও যে আছে তা নিয়ে বিজ্ঞানীরা ও বিভিন্ন দাতা সংস্থা অনেকদিন ধরেই সতর্ক করে আসছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের এই ক্ষতিকর প্রভাব কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমনে যাদের দায় সবচেয়ে কম তাদের ওপরও পড়ছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মৌসুমী বৃষ্টি এবং ইথিওপিয়ার উচ্চভূমি থেকে নেমে আসা পানিতে সৃষ্ট বন্যা সোমালিয়ার অসংখ্য ঘরবাড়ি, ফসল, গবাদিপশু ভাসিয়ে নিয়েছে। বন্যার ফলে হিরান অঞ্চলের রাজধানী বেলেদোয়েইনের কর্তৃপক্ষ হাসপাতাল ও স্কুলগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।
বন্যায় দোকান ভেসে যাওয়া স্থানীয় বাসিন্দা আহমেদ নূর বলেছেন, “মুহূর্তের মধ্যে পুরো শহর পানির নিচে তলিয়ে যায়। বেলেদোয়েইনেকে দেখতে মনে হচ্ছিল অনেকটা সমুদ্রের মতো। কেবল বাড়ির ছাদগুলো দেখা যাচ্ছিল। লোকজনকে উদ্ধারে আমরা ছোট নৌকা, ট্রাক্টর ব্যবহার করেছি।”