মূল্যস্ফীতির উত্তাপ কমানোর দাওয়াই থাকতে হবে বাজেটে

জাগো নিউজ ২৪ প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২৩, ১৫:৩৯

একদিকে মূলস্ফীতির উত্তাপে পুড়ছে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ, অন্যদিকে নির্বাচনী বছর। রয়েছে ডলার সংকট। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতিও খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। রপ্তানি আয়, রেমিট্যান্স আসা কমেছে। রিজার্ভেও নিম্নগামী। এ পরিস্থিতিতে আসছে নতুন অর্থবছরের (২০২৩-২৪) বাজেট। সামষ্টিক অর্থনীতির এ জটিল পরিস্থিতিতে নতুন অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতির ওপর সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।


তারা বলছেন, নতুন অর্থবছরের বাজেটে মূল গুরুত্ব দিতে হবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের ওপর। সেইসঙ্গে রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর দিকেও নজর দিতে হবে। তবে, নির্বাচনী বছর হওয়ায় সরকারের জন্য এ বাজেট হবে বেশ জটিল ও কঠিন। উচ্চাভিলাসী না হয়ে সংযত বা নিয়ন্ত্রিত বাজেট দিতে হবে। সম্ভব হলে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বাড়াতে হবে। সেটা সম্ভব না হলে এখনকার মতো এক কোটি মানুষকে আগামী অর্থবছরের সুবিধা দিতে হবে।


বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ উপাত্ত অনুযায়ী, গত এপ্রিল মাসে মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির এ চাপ মাথায় রেখে আগামী অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ের খসড়া করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এটি আগামী অর্থবছরের জন্য প্রাক্কলিত মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৫ দশমিক ২০ শতাংশ। চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট দেওয়া হয়। সে হিসেবে চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী অর্থবছর বাজেটের আকার প্রায় ৮২ হাজার কোটি টাকা বাড়বে।


এ বাজেটে সার, গ্যাস ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি বাবদ বাড়তি বরাদ্দ রাখা হতে পারে। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে ভর্তুকি, প্রণোদনা ও নগদ ঋণ খাতে ৮২ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা রাখা হয়েছিল। পরে সংশোধিত বাজেটে তা বাড়িয়ে ১ লাখ ২ হাজার কোটি টাকা করা হয়। নতুন অর্থবছরের বাজেটে এসব খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা রাখা হতে পারে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে ৩৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হতে পারে। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ রাখা হয় ১৭ হাজার কোটি টাকা। পরে সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ বাড়িয়ে ২৩ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে।


এদিকে চলতি অর্থবছরের এপ্রিলে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৫০৫ কোটি ডলার। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৯৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার। সে হিসাবে লক্ষ্যমাত্রা থেকে ২১ দশমিক ৬৭ শতাংশ আয় কম হয়েছে। শুধু লক্ষ্যমাত্রা থেকে কম হয়নি, গত বছরের তুলনায়ও রপ্তানি আয় অনেক কমেছে। গত বছরের এপ্রিলে রপ্তানি আয় ছিল ৪৭৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার।


বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, গত এপ্রিল মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার। ২০২২ সালের এপ্রিলে রেমিট্যান্স আসে ২ দশমিক শূন্য ১ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের এপ্রিলে রেমিট্যান্সপ্রবাহ কমেছে ১৬ দশমিক ২৮ শতাংশ।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us