You have reached your daily news limit

Please log in to continue


‘আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই’

সন্তানকে হারিয়ে পাগল প্রায় বৃদ্ধা মা নুরজাহান বেগম (৬৫)। আশপাশের লোক দেখলেই ভয়ে ভাঙা ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। যখন কেউ থাকে না তখন দুহাত তুলে সৃষ্টিকর্তার কাছে সন্তান হত্যার বিচার চেয়ে কাঁদতে থাকেন। এদিকে তাকে জিম্মি করে তার ছেলে হত্যার ঘটনায় মিথ্যে অভিযুক্তদের নামে মামলা করিয়ে নিয়েছেন প্রতিপক্ষরা। যার ফলে ছেলে হত্যার বিচার নিয়েও শঙ্কায় পড়েছেন তিনি। তাই এখন নিরুপায় হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচারের দাবি জানিয়েছেন এই বৃদ্ধা।  

রোববার (১৭ মে) সকালে বৃদ্ধা নুরজাহান বেগমের বাড়িতে গেলে অঝোরে কাঁদতে থাকেন তিনি। কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার ছেলের যতক্ষণ মৃত্যু না হয় ততক্ষণ তারা মাথায় আঘাত করেছেন। হত্যাকারীদের পা ধরে জীবন ভিক্ষা চাইলেও তারা আঘাত করতে ছাড়েনি। এ হত্যার বিচার চাই। সন্তান হারার বেদনা নিয়ে এই পৃথিবীতে থাকতে চাই না। 

বৃদ্ধা নুরজাহান বেগম উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের হরবানিনগর গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমানের স্ত্রী। গত ২৩ এপ্রিল লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের হরবানিনগর গ্রামে বাঁশকাটাকে কেন্দ্র করে বৃদ্ধার ছেলে আব্দুর রাজ্জাকের উপর হামলা হয়। পরে টানা ৪ দিন রংপুর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান। ওই ঘটনায় রাজ্জাক মারা গেলেও বেশয়কজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। 

ওই দিন বৃদ্ধাকে জিম্মি করে থানায় নিয়ে টিপসই নিয়ে হত্যা মামলায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে। হত্যা মামলায় মিথ্যে অভিযুক্তদের নাম কেটে নিতে বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরছেন বাদী বৃদ্ধা নুরজাহান বেগম। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পলিথিনের ছাউনি দেওয়া নড়বড়ে একটি ছায়লা ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করেন বৃদ্ধা নুরজাহান বেগম। নড়বড়ে সেই ঘরের উপর প্রতিবেশী মৃত মজিবর রহমানের ছেলে মজনু মিয়ার একটি বাঁশ হেলে পড়ে। বাঁশটি পড়ে যেকোনো সময় বৃদ্ধা নুরজাহানের ক্ষতি করতে পারে। বাঁশ মালিককে একাধিকবার কেটে অপসরণ করতে বললেও কেটে নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে গত ২৩ এপ্রিল বৃদ্ধার ছেলে আব্দুর রাজ্জাক বাঁশটির হেলে পড়া অংশ কেটে ফেলে। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন