নিজের ঘর সাজাতে ভালবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ছোট বা বড় যেমনই হোক না কেন সবাই চান সাজানো গোছানো ঘর। বাড়ি সাজানো গোছানো থাকলে তা আপনাকে এনে দিতে পারে মানসিক শান্তিও। কিন্তু চাইলেই সবসময় নিজের ইচ্ছেমতো ঘর সাজানো যায় না। এর জন্য প্রয়োজন হয় পর্যাপ্ত বাজেটেরও । তবে চাইলে স্বল্প খরচেও আপনার ঘরটি সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে পারেন।
কীভাবে সাজাবেন ঘর-
১. ঘরে শৈল্পিক ছোঁয়া আনতে বেছে নিতে পারেন সুন্দর কিছু পেইন্টিং। ঘরের মাপ অনুযায়ী একটি দেওয়ালে টাঙাতে পারেন পেইন্টিং। যা চোখকে আরাম দেওয়ার পাশাপাশি ঘরের লুক পাল্টে দেবে।
২. বই পড়তে ভালবাসেন? তাহলে বইও হয়ে উঠতে পারে ঘর সাজানোর উপকরণ। স্টাডি রুম ছাড়াও বসার ঘরে বুক শেলফে সাজিয়ে রাখতে পারেন আপনার পছন্দের সব বই।
৩. ঘর সাজাতে ল্য়াম্প শেডের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। ঘরের যে কোনও কোণায় ল্য়াম্প শেড রাখতে পারেন। হ্যাঙ্গিংল্য়াম্প শেড হলে তা বাড়ির করিডরে ঝোলানো যেতে পারে। এর নরম আলো ঘরের শোভা বাড়াবে।
৪. ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে রঙ বেশ গুরুত্বপর্ণ। পুরনো আসবাবে নতুন করে রঙ করে দেওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি সোফা বা বালিশের কভার পাল্টে পাল্টে দেওয়া যেতে পারে। ঘরের রঙ হালকা হলে, পর্দার রঙ উজ্জ্বল বেছে নিতে পারেন।
৫. ঘরে যদি একটু সবুজের ছোঁয়া থাকে তাহলে বসলে শান্তি লাগবে । ঘর সুন্দরও দেখাবে। আজকাল অল্প টাকায় অনেক ধরনের ইন্ডোর প্লান্ট পাওয়া যায়। জানালায়, ঘরের কোণায়, শোওয়ার ঘরের যে কোনও জায়গায় ইনডোর প্লান্টটি রেখে দিতে পারেন। চাইলে ঘর সাজাতে ক্য়াকটাস গাছও ব্য়বহার করতে পারেন।
৬. ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষ কমই আছে। কোনও বিশেষ দিন, বা কোনও সাধারণ দিনকে বিশেষ করে তুলতে ফুলদানি সাজাতে পারেন তাজা ফুল দিয়ে। ফুল এমনই একটি জিনিস যা সবসময়ই ইতিবাচক শক্তির সঞ্চার করে,ঘরকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলে।
৭. ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে একটি বিশেষ উপকরণ হচ্ছে ফটো ফ্রেম। কম খরচে আপনার পছন্দমত ছবি বাঁধিয়ে দেওয়ালে টাঙায়ে দিন। আজকাল কোলাজ করা ফটোফ্রেম বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। সেখানে পরিবারের সদস্যদের একাধিক ছবি রাখতে পারেন।
৮. আজকাল ফুটপাথের অনেক দোকানেও বিভিন্ন ধরণের ঘর সাজানোর টুকিটাকি জিনিস পাওয়া যায়। সেটা হতে পারে সেরামিকের ফুলদানি বা রঙিন ড্রিম ক্য়াচার। খুব ছোট ছোট জিনিসই হয়ে উঠতে পারে আপনার ঘর সাজানোর উপাদান।
৯. কম খরচে দেয়াল সাজাতে ব্যবহার করতে পারেন ওয়ালপেপার। স্যান্ডস্টোন, রাস্টিক টাইলস, টেরাকোটা বা প্রাকৃতিক দৃশ্য সব ধরনের ওয়াল পাবেন বাজারে। ঘরের যে কোনো একটা দেয়ালে পছন্দমতো ওয়ালপেপার লাগিয়ে নিন।
১০. ঘরের আসবাবপত্রগুলো এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় রেখে মাঝেমধ্যে দেখতে পারেন ঘরটি কেমন লাগে। হয়তো দেখা যাবে কোন কিছুর জায়গা পরিবর্তনের ফলে ঘরটি আরও সুন্দর হয়ে উঠেছে।