গ্রীষ্মের ফলের মধ্যে লিচু অন্যতম। মিষ্টি, রসালো স্বাদের এই ফলটি শিশু থেকে বয়স্ক সবারই পছন্দের। স্বাদের পাশাপাশি এই ফলটি গুণেও অনন্য। লিচুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে। লিচু হাইড্রেশনের জন্য দুর্দান্ত বলে বিবেচিত হয়৷ কারণ, এতে প্রচুর পরিমাণ পানি রয়েছে। অনেকে লিচুর রস পান করতে পছন্দ করেন, আবার কেউ কেউ স্মুদি এবং আইসক্রিম তৈরি করার পরে এটি খান।
তবে লিচুতে শর্করার মাত্রা অনেকটাই বেশি। তাই অনেকের চিন্তা থাকে, ডায়াবেটিস রোগীরা লিচু খেলে কোনও ক্ষতি হতে পারে কি না, তা নিয়ে।
এমনিতেই ডায়াবেটিস রোগীদের সব ধরনের মিষ্টি খাবার অর্থাৎ যেসব খাবারে উচ্চ পরিমাণে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স থাকে সেগুলো থেকে দূরে থাকতে বলা হয়। মিষ্টি ফল লিচুতেও উচ্চ পরিমাণে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স আছে। তবে অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, লিচু অন্যান্য মিষ্টি ফলের চেয়ে আলাদা নয়। এতেও অন্যান্য ফলের মতো প্রাকৃতিক সুগার রয়েছে। কিন্তু এই ফলে যে ধরনের শর্করা পাওয়া যায় তা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিরাপদ। এছাড়া যদি কারও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রিত থাকে লিচু খাওয়া তার জন্য ক্ষতিকর নয়।
এ বিষয়ে ব্যাপারে ভারতের দিল্লির নিউট্রিফাই বাই পুনম ডায়েট অ্যান্ড ওয়েলনেস ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাতা বলছেন, ডায়াবেটিস রোগীরা পরিমিত পরিমাণে লিচু খেতে পারেন। কিন্তু, লিচুতে প্রচুর পরিমাণে সুগার রয়েছে৷ তাই এটি অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে রক্তে অনিয়ন্ত্রিতভাবে শর্করা বাড়তে পারে।
ডায়েটিশিয়ান পুনমের মতে, যে সব রোগীদের রক্তে শর্করা দ্রুত ওঠানামা করে তাদের লিচু খাওয়ার আগে ডাক্তার বা ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। তিনি বলেন, অতিরিক্ত শর্করার রোগীদের লিচু খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় না। তাদের কম গ্লাইসেমিক সূচকযুক্ত ফল খাওয়া উচিত।
ডায়েটিশিয়ান পুনম জানান, ডায়াবেটিস রোগীরা অল্প পরিমাণে লিচুর রসও পান করতে পারেন।