ঘূর্ণিঝড় মোখা’র কারণে রান্নার গ্যাস বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে থাকা চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের সোমবার বিকাল নাগাদ স্বস্তি মিলবে। এ সময়ের মধ্যে বাসাবাড়িতে গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানিয়েছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড (কেজিডিসিএল) কর্তৃপক্ষ।
কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (বিতরণ-দক্ষিণ) আমিনুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সার কারখানা ও পাওয়ার প্ল্যান্ট বাদে চট্টগ্রামে বিকালের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। শিল্প কলকারখানায়ও গ্যাস সরবরাহ ঠিক হবে বলে আশা করছি। সকাল থেকেই গ্যাস আসা শুরু হয়েছে।”
চট্টগ্রামে সার কারখানা, শিল্প প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গৃহস্থালী মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে তিনশ মিলিয়ন ঘনফুটের ওপরে গ্যাসের প্রয়োজন হয়। শুধু চট্টগ্রামে গৃহস্থালী কাজে গ্যাসের প্রয়োজন হয় ৫০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো। “
“বিকালের মধ্যে এলএনজি টার্মিনাল থেকে দেড়শ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো গ্যাস পাওয়া যাবে। এতে করে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হবে,” বলেন কেজিডিসিএল কর্মকর্তা আমিনুর রহমান।
সোমবার দুপুর পর্যন্ত নগরীর পাথরঘাটার কিছু অংশ, জামালখান, প্রবর্তক মোড়, হিল ভিউ আবাসিক, নাসিরাবাদ, আলকরণ, চকবাজারসহ বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়িতে সীমিত পরিসরে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে শুক্রবার রাতে সমুদ্রে থাকা এলএনজি টার্মিনাল থেকে সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সতর্কতার অংশ হিসেবে টার্মিনাল দুটি মহেশখালীর নির্ধারিত জায়গা থেকে গভীর সমুদ্রের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর ফলে চট্টগ্রামে বাসাবাড়ি, সার কারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার থেকে চরম দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী। রান্নার চুলা জ্বলেনি দুইদিন ধরে।