কোলেস্টেরলের উচ্চ মাত্রা হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, বিশ্বব্যাপী হৃদরোগজনিত জটিলতার এক তৃতীয়াংশ উচ্চ কোলেস্টেরলের জন্য দায়ী। বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনযাপন পদ্ধতি এবং ভুল খাদ্যাভ্যাসে রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যায় । কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করতে পারে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এসব খাবার অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করতে হবে।
ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান গরিমা গোয়েল ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কোলেস্টেরল বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য উদ্বেগের একটি প্রধান কারণ। বিশ্বের প্রায় ৫০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন। উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়, যা মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ।
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কিছু খাবারের পরামর্শ দিয়েছেন ডায়েটিশিয়ান গরিমা গোয়েল । এসব খাবারের সংমিশ্রণ রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। যেমন-
ডাল ও ব্রাউন রাইস: ডাল শরীরে এলডিএল কম করতে সাহায্য করে। যা চিকিৎসা বিজ্ঞানে খারাপ কোলেস্টেরল হিসেবে চিহ্নিত। ডালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। অন্যদিকে ব্রাউন রাইস হৃদরোগের সমস্যা কমায় প্রায় বিশ শতাংশ।
হলুদ ও গোলমরিচ: হলুদের অ্যান্টি–ইনফ্লেমেটরি গুণ কোলেস্টেরলের মাত্রা কম করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে গোলমরিচে থাকে পিপেরাইন হলুদ থেকে কারকিউমিন শোষণে শরীরকে সাহায্য করে। স্যুপ, বা যে কোনও গ্রেভিতে এই দুই উপকরণ একসঙ্গে রাখুন।
কাজুবাদাম ও টক দই: মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটে ভরপুর কাজুবাদাম হৃৎপিণ্ডের জন্য খুবই ভাল। সমীক্ষা বলছে ,টক দই প্রায় চার শতাংশ কোলেস্টেরলের মাত্রা কম করতে পারে। এই দুটি জিনিস একসঙ্গে একটি দারুন স্ন্যাক্স হিসেবে ডায়েটে রাখলে অনেক উপকার পাবেন।
গ্রিন টি ও পাতিলেবু:ইমিউনিটি বাড়াতে অনেকেই গ্রিন টি খান। এর সঙ্গে লেবু মেশালে বেশি উপকার পাওয়া যায়। লেবু মেশানো গ্রিন টি এর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস, ফ্ল্যাভনয়েডস কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।