ব্যবসায়িক কাগজপত্র যত দেরিতে সরকারি নথিভুক্ত করা যায় ততই মঙ্গল, এটা বেশিরভাগ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ধারণা। এমন ধারণার পেছনে কারণ কী! তারা নিশ্চয়ই জানেন ব্যবসায়িক কাগজপত্র ঠিকঠাক না থাকলে ব্যাংক ঋণ থেকে শুরু করে সরকারি সবরকম সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হবেন!
সবই জানেন, জেনেও তাদের এমন অনীহার কারণ হলো হয়রানি। এই হয়রানি রাষ্ট্রযন্ত্রের। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ভ্যাট ও ট্যাক্স সংক্রান্ত হয়রানি। কিছুক্ষেত্রে সেই হয়রানি এত মারাত্মক হয়ে ওঠে যে প্রায়শই ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবতে হয়।
ভ্যাট ও ট্যাক্সের কর্মকর্তারা উদ্যোক্তাদের আউটলেটে গিয়ে তাদের বিভ্রান্ত করে থাকেন এমন অভিযোগও উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে আসে। আবার কোনো মেলা কিংবা এক্সিবিশনে অংশ নিলে সেখানে গিয়ে উদ্যোক্তাদের বেচাবিক্রির ফিরিস্তি নিয়ে চার্জ করার ঘটনাও অনেকের সাথেই ঘটেছে।
ঘটমান বর্তমান এসব অসংগতির সাথে যুক্ত হয়েছে সাম্প্রতিক আরেক প্রেক্ষাপট। ডিজিটাল বাণিজ্য আইন ২০২৩। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে ইভ্যালি, নিরাপদ ডট কম, ই-অরেঞ্জ, ধামাকা শপিং বিডি, দালাল প্লাস, আলেশা মার্ট, সিরাজগঞ্জ শপ ডট কম থেকে শুরু করে এমন আরও অসংখ্য ই-কমার্স কেলেঙ্কারির পর সরকারের টনক নড়েছে।