বিভিন্ন পক্ষের একাধিক পদক্ষেপের সুফল হিসেবে ব্যাংক ও খোলা বাজারে ডলারের দরের বড় ধরনের পার্থক্য অবশেষে অনেকটা কমেছে; ৯ মাসের মধ্যে বিনিময় হারে ১০ টাকার ব্যবধান কমে আড়াই টাকায় নেমেছে।
ডলারের সরবরাহ সংকটে প্রধান এ বিদেশি মুদ্রার দর ২০২১ সালের শেষ দিকে যখন চড়তে থাকে তখন ডলার কেনাবেচার এ দুই উৎসের মধ্যে ফারাক বাড়তে থাকে। ২০২২ সালের অগাস্টে তা এক পর্যায়ে ১০ টাকাও ছাড়িয়ে যায়।
নানা প্রচেষ্টার পর বিভিন্ন সময় ওঠানামার পর খোলা বাজারে গত সপ্তাহে ডলারের বিনিময় মূল্য ১১০-১১১ টাকায় নেমেছে। আর ব্যাংকে পর্যায়ক্রমে দর বাড়ার পর ব্যাংকে নগদ অর্থে ডলার কেনার মূল্য এখন ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ১০৯ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে।
এতে খোলা বাজার ও ব্যাংকে ডলারের দরের ব্যবধান আড়াই টাকায় নেমেছে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে মানি চেঞ্জারদের বৈঠকে নেওয়া এ বিষয়ক নীতি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তা দেড় টাকা হওয়ার কথা।
২০২২ সালের জুলাই-অগাস্টে ডলার নিয়ে টানাপড়েনের সময়কালে চাহিদা বাড়তে থাকার সময়কালে অগাস্টে খোলা বাজারে ডলারের দর ওঠে সর্বোচ্চ ১২১ টাকা। সেসময় এক পর্যায়ে ব্যাংকে বিক্রি হয় সর্বোচ্চ ১১১ টাকায়।
ব্যাংকার ও মানি চেঞ্জার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক দীর্ঘদিনের প্রচলিত ডলারের দর বেঁধে দেওয়ার নীতি থেকে সরে তা বাজারের উপর ছেড়ে দেওয়ার দিকে এগোলে টাকার মান পড়তে থাকে। এক পর্যায়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত মেনে বাফেদা ও এবিবি ডলারের দর কেনাবেচায় দর নির্ধারণ করলে ব্যাংকে ডলারের বিনিময় হার বেড়ে ১০৭-১০৮ টাকা হয়।