রাতে পর্যাপ্ত ঘুম হয়েছে। অথচ সকালে অফিসে আসতেই কোথা থেকে একরাশ ক্লান্তি এসে জড়ো হল শরীরে। কাজে কিছুতেই মন বসছে না। শুধু ঘুম পাচ্ছে। অনেকেরই এমন হয়। কিন্তু কেন হচ্ছে এমন, তা বুঝতে পারেন না অনেকেই। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই ক্লান্তির নেপথ্যে রয়েছে ‘ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম’। সিএফএস-এ আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বে়ড়েই চলেছে। গবেষণা জানাচ্ছে, সঠিক খাওয়াদাওয়ার অভাবেই এমন হয়। তাই চনমনে থাকতে জোর দিতে হবে খাওয়াদাওয়ার উপরেই। কোন খাবারগুলি বেশি করে খেতে হবে?
কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার
কার্বোহাইড্রেট শরীর চাঙ্গা রাখে। শরীরে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ তুলনায় কমে গেলে সাধারণত ক্লান্তি আসে। বারে বারে এমন হলে উচ্চ রক্তচাপের মাত্রায় সমতা থাকে না। তাই ঝুঁকি এড়াতে কার্বোহাইড্রেট আছে এমন খাবার বেশি করে খাওয়া ভাল। সবজি, নানা ধরনের শস্যতে কার্বোহাইড্রেট ভরপুর পরিমাণে আছে। খেতে পারেন।
ভিটামিনজাতীয় খাবার
শরীরে ভিটামিন বি১২, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্কের অভাব ভিতর থেকে দুর্বল করে দেয়। পর্যাপ্ত পরিমাণে এই উপাদানগুলি শরীরে না থাকলে এমন সমস্যা হয় মূলত। তাই শরীর চাঙ্গা রাখতে এই উপাদান সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়া জরুরি। সাইট্রাস জাতীয় ফল, দুধ এবং বেশ কিছু ফলে এই উপাদানগুলি ভরপুর পরিমাণে রয়েছে।
দুগ্ধজাত খাবার
সিএফএস-এর মতো সমস্যা আটকাতে দুগ্ধজাত খাবার কাজে আসবে। মূলত প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনি, ফ্যাট ক্লান্তির নেপথ্যে থাকে। তাই সেগুলির বদলে দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। নিয়ম করে রোজের পাতে যদি দুধ, দই রাখতে পারেন তা হলে এমন ক্লান্তির শিকার আর হতে হবে না।