কর্মজীবী মায়েদের সন্তানদের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বাড়িতে ও অফিসের কাজের দায়িত্বও পালন করতে হয়। এত কাজের ভিড়ে কর্মজীবী মায়েরা নিজেদের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেন না। কিন্তু যত্নের অভাব ভবিষ্যতে মায়েদের স্বাস্থ্যের জন্য আশঙ্কাজনক হতে পারে। এ কারণে যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন কর্মজীবী মায়েদের নিজেদের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কর্মজীবী মায়েরা কিছু ডায়েট টিপস অনুসরণ করে তাদের স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে পারেন।
কী করবেন-
পুষ্টি চাহিদা: প্রতিটি বয়সের নিজস্ব পুষ্টি চাহিদা রয়েছে। সেজন্য প্রত্যেকেরই এর প্রয়োজনীয়তা জানা উচিত। একজন কর্মজীবী মায়ের প্রতিদিন কতটা স্বাস্থ্যকর চর্বি, ক্যালোরি, আয়রন এবং ক্যালসিয়াম খাওয়া উচিত তা জানা উচিত।
সকালের নাশতা এড়িয়ে যাবেন না: ক্যাফেইন দিয়ে দিন শুরু করা এড়িয়ে চলুন। ব্যস্ততার কারণে সকালের নাশতা এড়িয়ে যাবেন না। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার দিয়ে নাশতা সারুন। সেক্ষেত্রে সিদ্ধ ডিম, স্যান্ডউইচ, দই, মসুর ডাল ও খেজুরের সঙ্গে দুধ খেতে পারেন।
স্বাস্থ্যকর হালকা নাশতা: রান্নাঘরের শেলফে অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস রাখা এড়িয়ে চলুন। এক্ষেত্রে ছোলা ভাজা, শুকনো ফল, মাখন, চীনাবাদামের মতো জিনিস রাখা যেতে পারে। অফিসে কিংবা বাড়িতে কাজের ফাঁকে ফাঁকে এসব খেতে পারেন।
দুপুরের খাবার :পুষ্টির চাহিদা মেটাতে দুপুরের খাবারে ডিম, মসুর ডাল, সবজি, মটরশুটি এবং দই অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
হ্যাপি ফুড: যেসব খাবার খেলে আপনার মানসিক চাপ কম হয় সে সব খাবার খান। সেক্ষেত্রে কলা, বেরি, মটরশুটি, ডার্ক চকলেট এবং নারকেল খান। এই খাবারগুলি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য এবং অ্যামিনো অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এসব খাবার খেলে মনমেজাজ ভালো থাকে । এগুলো খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।