ডলার সাশ্রয়ে আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি শর্ত আরোপ করেছে সরকার। এতে বস্ত্র খাতসহ বিভিন্ন শিল্পকারখানার যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানিতে টান পড়েছে। যার নেতিবাচক প্রভাবে কারখানার উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে পোশাক খাতে ক্রয় আদেশ অনুযায়ী পণ্য সরবরাহ ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর কারণে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেছে।
এসব চ্যালেঞ্জের কারণে কারখানা যদি বন্ধ হয়, তাহলে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ও বড় ধাক্কা খাবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, এতে কর্মসংস্থানও কমবে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) মূলধনি যন্ত্রপাতির এলসি খোলা কমেছে প্রায় ৫৬ শতাংশ। একই সময়ে পণ্যটির এলসি নিষ্পত্তি কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশ। এ সময় শিল্পের কাঁচামালের এলসি খোলা কমেছে ৩১ শতাংশ এবং নিষ্পত্তি কমেছে সাড়ে ৬ শতাংশ। অন্যদিকে শিল্পের মধ্যবর্তী পণ্যের এলসি খোলা ও নিষ্পত্তি কমেছে যথাক্রমে সাড়ে ৩১ শতাংশ ও সাড়ে ২২ শতাংশ।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ডলার সংকটের কারণে শিল্পের কাঁচামালের সংকট দেখা দিয়েছে। এতে পোশাক উৎপাদন কমেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযাযী, চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত মূলধনি যন্ত্রপাতির এলসি খোলা হয়েছে মাত্র ২২৯ কোটি ডলারের, যা গত অর্থবছরে ছিল ৫১৯ কোটি ২৫ লাখ ডলার। সেই হিসাবে ৯ মাসে কমেছে ৫৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ।