সৌরবিদ্যুতের প্যানেল আছে, কিন্তু বাতি নেই। আবার কোথাও বাতি আছে, কিন্তু প্যানেল গায়েব। বহু সড়কবাতি ব্যাটারি ও লাইটহীন। স্ট্রিটের ব্যাটারি বক্সে দেখা মিলছে পাখির বাসার। কোথাও ঝড় বা বর্ষার পানিতে হেলে পড়ে আছে সড়কবাতি। রক্ষণাবেক্ষণের বালাই নেই। অবাধে চুরি হচ্ছে ব্যাটারি ও সোলার প্যানেল।
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার আট ইউনিয়নের পাড়া-মহল্লার চিত্র এটি। ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত টানা চার বছর ৯০ কোটি ২৯ হাজার টাকা খরচে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে এসব এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে ৯৮৫টি সড়কবাতি। চতুর্থ ধাপে স্থাপিত সড়কবাতির তিন বছর রক্ষণাবেক্ষণ করার দায়িত্ব শেষ হবে চলতি বছর।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট থেকে বড় বাজার এবং বর্ধমানপাড়া হয়ে আখড়া বাজার পর্যন্ত প্রধান সড়কে ৪২টি সড়কবাতির মধ্যে ৩১টিতে আলো জ্বলে না। দেওঘর ইউনিয়নের ধলেশ্বরী নদীর মো. আবদুল হামিদ সেতুর ১০টি সড়কবাতির অর্ধেকই নষ্ট। দুই পাশের সংযোগ সড়কে ৭টি সড়কবাতির মধ্যে আলো জ্বলে কেবল দুটিতে।