জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন- তিন মহাদেশের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কেন্দ্র। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের শীর্ষ অর্থনৈতিক দেশ, তদুপরি সামরিক শক্তিতেও অনেক এগিয়ে। ব্রিটেন ইউরোপের রাজনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে গণ্য হয়। জাপানও বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম প্রধান কেন্দ্র। আমাদের পাঠ্যবইয়ে পড়ানো হয় এভাবে তেমন খনিজসম্পদ নেই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের পর সামরিকভাবেও হীনবল। এমন একটি দেশ কেবল শিক্ষা-প্রযুক্তি-গবেষণায় মনোযোগ দিয়ে নিজেকে অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তুলনামূলক কম দামে উন্নত মানের পণ্য উৎপাদনের জন্য খ্যাতি রয়েছে দেশটির। যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্ডসহ কয়েকটি গাড়ি উৎপাদক কোম্পানিকে জাপানি মোটরগাড়ি উৎপাদক কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতায় হারিয়ে দিতে পেরেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেই। এ দেশটি ১৯৭২ সাল থেকেই বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ঋণদাতা দেশ আমদানি বাণিজ্যের বড় অংশীদার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ এপ্রিল বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি দেশ সফরে যখন বের হন, দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের হুঙ্কার শেখ হাসিনাকে অচিরেই উৎখাত করে এমন একটি সরকার কায়েম করা হবে, যাদের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন। বিএনপির একাধিক নেতা গত বছরের অক্টোবরেই বলেছিলেন- ১০ ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশ চলবে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কথায়। এ বছরের রমজানে শুনেছি ঈদের পর শেখ হাসিনার পতনে এমন কঠোর আন্দোলন শুরু হবে, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা পালানোর পথ পাবে না।