ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার ২৯টি খাল এবং কল্যাণপুর রিটেনশন পন্ডের সীমানা নির্ধারণ করতে গিয়ে জটিলতায় পড়েছে কর্তৃপক্ষ।
সিএস নকশায় যেখানে খাল থাকার কথা, এখন সেখানে মাথা তুলে দঁড়িয়ে আছে দালানকোঠা। সীমানা নির্ধারণে নেওয়া প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত বসানো খুঁটির অনেকগুলোই পড়েছে বাড়ি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ভেতরে।
এসব খুঁটি অপসারণের দাবি জানিয়ে এরইমধ্যে অন্তত ৭০০ চিঠি এসেছে উত্তর সিটির সম্পত্তি বিভাগে। এ অবস্থায় সিএস নকশা অনুযায়ী খালগুলো উদ্ধার করা যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। সীমানা খুঁটি বসানো শেষ না হওয়ায় বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলছেন, সিএস নকশা অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ করতে না পারলে খালের প্রশস্ততা কমে যাবে। তাতে খালগুলো গভীরতা ফিরে পাবে না, পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে।
২০২০ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার খাল এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা সিটি কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয় ঢাকা ওয়াসা। এসব খালের উন্নয়ন করতে গেলে দেখা যায়, খাল পাড় দখল করে আছে অবৈধ দখলদাররা; অনেক জায়গায় সীমানা পিলার নেই, থাকলেও সেগুলোর অবস্থান সঠিক নয়।
এ অবস্থায় সঠিকভাবে পানি নিষ্কাশনের জন্য খালগুলো নির্ধারিত প্রস্থ এবং গভীরতায় খননের জন্য সঠিক সীমানা নির্ধারণ, প্রকৃত সীমানা বরাবর পিলার স্থাপন, অবৈধ দখলদার চিহ্নিতকরণ এবং খালের জিএস ডেটাবেইজ তৈরির উদ্যোগ নেয় উত্তর সিটি।