অনেকেরই দাবি ,হাত দিয়ে খাবার না খেলে তৃপ্তি সহকারে খাওয়া যায় না। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, মালয়েশিয়াম, ইন্দোনেশিয়াসহ অনেক দেশের মানুষই হাত দিয়ে খাবার খান। তবে পরিবর্তনশীল সংস্কৃতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবনধারাও দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। এখন হাতের পাশাপাশি অনেকে চামচ দিয়েও খাবার খান। চামচ দিয়ে খাবার খাওয়া আর হাত দিয়ে খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে কোন পদ্ধতি বেশি উপকারী তা নিয়ে প্রায়ই তর্ক-বিতর্ক হয়।
কোন পদ্ধতি বেশি উপকারী?
আয়ুর্বেদের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাতের ৫টি আঙুল পাঁচটি উপাদানের প্রতিনিধিত্ব করে, যার মধ্যে আগুনের জন্য বুড়ো আঙুল, বায়ুর জন্য তর্জনী, আকাশের জন্য মধ্যমা আঙুল, পৃথিবীর জন্য অনামিকা এবং পানির জন্য কনিষ্ঠ আঙুল। বলা হয়ে থাকে যে আমরা যখন হাত দিয়ে খাবার খাই, তখন আমরা নিয়ন্ত্রিত অনুপাতে খাই যাতে আমরা বেশি খাবার না খাই। এতে করে আমরা অতিরিক্ত খাওয়া এড়াই।
হাত দিয়ে খাবার খেলে আরও যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-
১.হাত দিয়ে খাওয়া রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। হাত দিয়ে খাওয়া একটি চমৎকার পেশির ব্যায়াম, যা রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। হাতের অত্যধিক নড়াচড়া রক্ত প্রবাহকে মসৃণ রাখতে সাহায্য করতে পারে।
২. খাবার খাওয়ার আগে হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। 'এপিটাইট জার্নালে' প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে হাত দিয়ে খাওয়ার অভ্যাস ওজন কমাতে সাহায্য করে। গবেষকদের মতে, চামচের তুলনায় হাত দিয়ে খেলে পেট ভরা ও তৃপ্তির অনুভূতি দেয়। এর ফলে বারবার খাওয়ার আগ্রহ কমে।
৩. ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে,যারা চামচ দিয়ে খায় তাদের মধ্যে হাত দিয়ে খাওয়া ব্যক্তিদের চেয়ে দ্রুত খাওয়ার প্রবণতা থাকে। চামচ এবং কাঁটাচামচ দিয়ে দ্রুত খাওয়া রক্তে শর্করার ভারসাম্যহীনতা নষ্ট করে। এর ফলে টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। অন্যদিকে হাত দিয়ে খেলে একজন সচেতনভাবে খাবার খায়। তাছাড়া, হাত ব্যবহার করলে খাবার খাওয়া উপভোগ্য মনে হয়।