যোগাযোগ একটি সুস্থ সম্পর্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। বর্তমান সময়ে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তেই চব্বিশ ঘন্টা যোগাযোগে সুবিধা রয়েছে। কথা না বলে শুধুমাত্র বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যমেও যোগাযোগ রাখা সম্ভব। তবে এমন অনেক ব্যাপার থাকে যেসব নিয়ে বার্তা না পাঠানোই ভালো। তার চেয়ে সামনাসামনি আলাপ করলে বিষয়টি অনেক ভালো হবে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এমিলি এইচ স্যান্ডার্সের মতে, অনেক বিষয়ে মুখোমুখি আলাপ করতে অনেক সাহসের প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু এতে পরিস্থিতি অনেক সহজ হবে।
বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যমে তর্ক এড়িয়ে যাওয়া এবং শুধুমাত্র প্রেমের বার্তা পাঠানো রোমান্টিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এমিলি কয়েকটি বিষয় নিয়ে ফোনে বার্তা পাঠানো এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। যেমন-
ক্ষমা: যতই নাটকীয় হোক না কেন, ফোনে বার্তা পাঠিয়ে ক্ষমা চাওয়া উচিত নয়। এরকম পরিস্থিতি হলে সময় নিন। তারপর সামনাসামনি কথা বলুন।
কাউকে অপমানজনক কথা লেখা: কেউ যখন রেগে যায়, অন্যের উপর বিরক্ত হয়, তখন তাদের অন্যেদেরকে অভদ্রভাবে বার্তা পাঠানোর বা বলার প্রবণতা থাকে। এমন আচরণ সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে। এমন পরিস্থিতি হলে নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। পরে বিষয়টি নিয়ে সামনাসামনি আলাপ করুন।
গোপন কথা: নিজের বা কারও কোনো গোপন কথা ফোনে বার্তার মাধ্যমে আদান-প্রদান ঠিক নয়। কখনও অন্য কেউ সেটা দেখে ফেলতে পারে। এতে প্রাপকের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক খারাপ হতে পারে। তাই গোপন কোনো কথা থাকলে সামনাসামনি বলুন৷
হতাশা: নিজের হতাশাবোধ নিয়ে কারও কাছে বার্তা পাঠানো ঠিক নয়। এতে আপনার আবেগ ঠিক মতো প্রকাশ নাও পেতে পারে। বরং সে আপনার কথার ভুল মানেও করতে পারে।
তর্ক-বিতর্ক: বার্তা আদান-প্রদানের মাধ্যমে কারও সঙ্গে তর্ক করতে যাবেন না। এতে পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যাবে। বরং সময় করে বিষয়টি নিয়ে সামনাসামনি কথা বলুন।