বাজারে এখন প্রতিকেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকার বেশি দরে। অনেক খুচরা ব্যবসায়ীর কাছে পর্যাপ্ত চিনি নেই। দেশে চিনির চাহিদা ও দাম বাড়লেও সরকারি চিনিকলগুলোর উৎপাদন প্রতি বছরই কমে যাচ্ছে। চলতি মৌসুমে মাত্র ২১ হাজার ৩১৩ টন চিনি উৎপাদন হয়েছে, যা গত ২৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) তথ্যমতে, সরকারি চিনিকলগুলোতে সর্বোচ্চ এক লাখ ২৮ হাজার লাখ টন চিনি উৎপাদন হয় ২০১৩-১৪ অর্থবছরে। ওই সময় ১৫টি চিনিকল উৎপাদনে ছিল। পরে লোকসানে থাকায় ২০২০ সালে ছয়টি চিনিকল বন্ধ করা হয়। উৎপাদনের পরিমাণ প্রতিবছরই কমছে। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৪ হাজার ৫০৯ টন চিনি উৎপাদন হয়। এখন উৎপাদন আরও তলানিতে নেমেছে। চলতি অর্থবছরে গত অর্থবছরের চেয়েও উৎপাদন কম হয়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ।