বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি ১৪ জনে একজন থ্যালাসেমিয়ার বাহক। দেশে ৭০ হাজারের বেশি শিশু থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। প্রতি বছর ছয় হাজার শিশু বিভিন্ন ধরনের থ্যালাসেমিয়া রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করছে। এমন পরিস্থিতিতে আজ (৮ মে) বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বেই পালিত হচ্ছে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস।
চিকিৎসকদের মতে, থ্যালাসেমিয়া হলো একটি বংশগত রক্ত স্বল্পতাজনিত রোগ। এসব রোগী ছোট বয়স থেকেই রক্ত স্বল্পতায় ভোগে। এদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- তারা যেহেতু তাদের শরীরে নির্দিষ্ট পরিমাণ রক্ত তৈরি করতে পারে না, তাই অন্যের রক্ত ট্রান্সফিউশন নিয়ে তাদের জীবন চালাতে হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বাংলাদেশের জনসংখ্যার সাত শতাংশ অর্থাৎ প্রায় এক কোটি ১০ লাখ মানুষ থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক। থ্যালাসেমিয়া বাহকদের পরস্পরের মধ্যে বিয়ের মাধ্যমে প্রতি বছর নতুন করে সাত হাজার থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুর জন্ম হচ্ছে। থ্যালাসেমিয়া রোগীরা প্রতি মাসে এক থেকে দুই ব্যাগ রক্ত গ্রহণ করে বেঁচে থাকে। চিকিৎসা না করা হলে এ রোগীরা রক্ত শূন্যতায় মারা যায়।