রবীন্দ্রনাথের ভাবনায় পতিসর পর্ব

সমকাল ড. আতিউর রহমান প্রকাশিত: ০৮ মে ২০২৩, ০১:৩১

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে পূর্ববঙ্গ তথা আজকের বাংলাদেশ। মূলত জমিদারি কাজে এসে তিনি এখানকার যেসব জনপদকে নিবিড়ভাবে দেখেছেন, তার মধ্যে পতিসর অন্যতম। ১৬৩তম জন্মদিন উপলক্ষে আমরা তাঁর প্রিয় পতিসরের কথা নিশ্চয় স্মরণ করতে পারি।


রবীন্দ্রনাথের সময় প্রকৃতির রূপ ছিল আটপৌরে ও শান্ত। গ্রামগুলো ছিল নিরন্ন কৃষকের প্রাণভূমি। কৃষিকাজ আর মাছ ধরাই ছিল তখন গ্রামের মানুষের প্রধান পেশা। কৃষিপ্রযুক্তিও ছিল সেকেলে। প্রকৃতিই ছিল তাদের খেয়েপরে বাঁচার প্রধান উৎস। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সর্বক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিল গ্রামগুলো। দারিদ্র্যপীড়িত নিঃস্ব এই প্রান্তিক মানুষকে রবীন্দ্রনাথ খুব কাছে থেকে দেখেছিলেন। গবেষকরা বলেন, পতিসরের প্রাণ-প্রকৃতি তাঁর চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গিতে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। এ কারণে জমিদারির আভরণ ছেড়ে সাধারণ মানুষের উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করেছিলেন। 


নওগাঁ, বগুড়া ও নাটোর জেলায় অন্তত ৬ শতাংশ গ্রামীণ এলাকা নিয়ে গড়ে উঠেছিল কালীগ্রাম পরগনা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই পারিবারিক জমিদারীর কাচারিবাড়ি ছিল পতিসর গ্রামে। জমিদারি ভাগাভাগি হলে পতিসর হয়ে ওঠে রবীন্দ্রনাথের নিজস্ব জমিদারি। ১৮৯১ সালের ১৩ জানুয়ারি নিজ জমিদারি পতিসরে আসেন রবীন্দ্রনাথ। এসে কবি চারদিকে ঘুরে বেড়ান। নাগর নদীতে ভেসে বেড়ান নৌকায়। এ নদীর পাড়, মাঠ এবং আশপাশেও হেঁটে বেড়ান। সে দেখার অভিজ্ঞতা নিঃশব্দে প্রভাব ফেলে কবির অন্তরে। তাই তাঁকে বলতে শুনি– ‘তোমরা যে পার ‍এবং যেখানে পার এক-একটি গ্রামের ভার গ্রহণ করিয়া সেখানে গিয়া আশ্রয় লও। গ্রামগুলিকে ব্যবস্থাবদ্ধ করো। শিক্ষা দাও, কৃষিশিল্প ও গ্রামের ব্যবহার‍সামগ্রী সম্বন্ধে নূতন চেষ্টা প্রবর্তিত করো’; (রবীন্দ্র রচনাবলী ১০ম খণ্ড, পৃঃ ৫২০)।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us